কমনওয়েলথ গেমসের ১০ম দিনে ভারতের ঘরে এল ৭টি স্বর্ণপদক। সোনা ঝলমলে শনিবারে শুরু থেকেই ভারতীয় খেলোয়াড়েরা একের পর এক পদক পেতে শুরু করেন। মহিলাদের ৪৫-৪৮ কেজি বক্সিংয়ে এদিন দেশকে প্রত্যাশামতই সোনা এনে দেন মেরি কম। ফাইনালে প্রতিপক্ষ উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্রিস্টিনা ও’হারাকে এদিন কার্যত উড়িয়ে দেন মেরি কম। অন্যদিকে মহিলা টেবিল টেনিস সিঙ্গেলসে সোনা জেতেন মনিকা বাত্রা। সিঙ্গাপুরের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন মনিকা। মনিকা বাত্রাই হলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি কমনওয়েলথের মঞ্চে মহিলা টেবিল টেনিস সিঙ্গেলসে সোনা জিতলেন। গড়লেন অনন্য নজির।
জ্যাভলিন থ্রোতে এদিন ভারতকে সোনা এনে দেন নীরজ চোপড়া। জ্যাভলিন থ্রোতে তিনিই হলেন প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি কমনওয়েলথের মঞ্চে অ্যাথলেটিক্স থেকে ভারতকে সোনা এনে দিলেন। ৮৬ মিটার পর্যন্ত জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনা ছিনিয়ে নেন নীরজ। এছাড়া শ্যুটিংয়ে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন-এ পুরুষ বিভাগে সোনা জেতেন সঞ্জীব রাজপুত। বক্সিংয়ে মেরি কম যখন মহিলা বিভাগ থেকে সোনা এনে দিলেন। তখন পিছিয়ে ছিলেন না পুরুষদের ৫২ কেজি বিভাগে ভারতের গৌরব সোলাঙ্কিও। তিনিও সোনা জেতেন। দেশের পদক তালিকায় যুক্ত করেন আরও একটি স্বর্ণপদক। মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগে কামাল দেখালেন ভারতের ভিনেশ ফোগাট। কানাডার প্রতিদ্বন্দ্বীকে কার্যত দাঁড়াতেই দিলেন না তিনি। জিতে নিলেন সোনা। কুস্তিতে এদিন আরও একটি সোনা এসেছে ভারতের ঘরে। পুরুষদের ১২৫ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তি বিভাগে ভারতের সুমিত মালিক সোনা জেতেন।
সোনার পাশাপাশি ভারতের ঝুলিতে এদিন ২টি রুপোও এসেছে। ২টিই এসেছে বক্সিং থেকে। পুরুষদের ৪৯ কেজি বিভাগ থেকে রুপো জেতেন অমিত পানঘল। আর পুরুষদের ৬০ কেজি বিভাগ থেকে রুপো জেতেন মণীশ কৌশিক।
তবে যাঁর কাছ থেকে একটি অন্তত স্বর্ণপদক আসা করছিলেন ভারতবাসী, সেই অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক কিছুটা হতাশ করলেন। মহিলাদের ৬২ কেজি কুস্তি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতলেন তিনি। সোনা রইল অধরাই। এদিন কুস্তিতে পুরুষদের ৮৬ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন ভারতের সোমবীর।
এদিকে মহিলা ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গেলসে ভারত সোনা ও রুপো, দুটি পদকই পাকা হয়েছে। কারণ ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারতের পিভি সিন্ধু ও সাইনা নেহওয়াল। ফলে ভারতের এই দুটি পদক নিশ্চিত। এখন কে সোনা জিতে নিয়ে যায় সেটাই দেখার।