শেষ হল দীর্ঘ ১ বছরের সংগ্রাম। ২০১৮ রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে কোন ৩১টি দেশ টিকিট পেল তা চূড়ান্ত হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। আয়োজক দেশ হিসেবে রাশিয়াকে যোগ্যতা অর্জনের পরীক্ষায় বসতে হয়নি। ইউরোপ থেকে যে ১৪টি দেশ বিশ্বকাপে খেলবে তাদের মধ্যে স্থান পেল না অন্যতম ফুটবল শক্তি ইতালি। টোটাল ফুটবলের জনক এবং ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডসও নেই তালিকায়। তবে বরফের দেশ আইসল্যান্ড সাফল্যের উষ্ণতা গায়ে মেখে প্রথমবার পা রাখতে চলেছে ফুটবলের মহাযজ্ঞে। এছাড়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ইউরোপের ফার্স্টবয় পর্তুগাল খুব সহজেই যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই তালিকায় বাকি দেশগুলি হল বেলজিয়াম, স্পেন, সুইডেন, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
বিশ্বখেতাব দখলের লড়াইতে কেউ যদি ইউরোপকে বেগ দিতে পারে তাহলে সেটা হল একমাত্র লাতিন আমেরিকা। ইউরোপ যখন ইতালির ছিটকে যাওয়ার আলোচনায় মশগুল তখন লাতিন আমেরিকায় সেই চর্চার কেন্দ্র চিলি। পরপর দুবারের কোপা আমেরিকা জয়ীরা পারল না বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে। এই মহাদেশের দুই মহাশক্তির মধ্যে ব্রাজিল অনায়াসে রাশিয়ার টিকিট অর্জন করেছে। কিন্তু আর্জেন্টিনা সেই টিকিট জোগাড় করেছে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে। ৩ দশক পর ফের দেখা যাবে পেরুকে। উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়া রাশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। উত্তর আমেরিকা তথা কনকাকাফ জোন থেকে বিশ্বকাপের উঠোনে নাম লিখিয়েছে কোস্টারিকা, মেক্সিকো এবং পানামা। বিশ্ব সমুদ্র পরিবহণ ব্যবস্থায় বিখ্যাত পানামা খালের অধিকারী দ্বীপরাষ্ট্র পানামা প্রথমবার খেলবে ফুটবলের বিশ্বযজ্ঞে।
আফ্রিকার ফুটবল দৈত্য ঘানাকে বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ছিটকে দিয়ে নীল নদের দেশ মিশরের প্রথম উত্থান ঘটল ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে। তাছাড়া বিশ্ব আসরে মরক্কো, সেনেগাল, তিউনিসিয়ার সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে প্রতিবারের পরিচিত মুখ নাইজেরিয়া। এশিয়া মহাদেশের এবারের প্রতিনিধিরা হল দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও ইরান। আগামী ১ ডিসেম্বর মস্কোর ক্রেমলিন রাজপ্রাসাদে ড্র-এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত হবে।