৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে হারার পর এদিন শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। এদিনের ম্যাচ জিততেই হত পেরুকে। নিদেনপক্ষে ড্র। তাহলে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছনোর সম্ভাবনা টিকে থাকত। কিন্তু দারুণ লড়াই দিয়েও ফ্রান্সের মঁবঁপের খেলার ৩৪ মিনিটের মাথায় করা ১টি মাত্র গোল তাদের ছিটকে দিল। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে পেরুর খেলোয়াড় থেকে দর্শক সকলের চোখেই ছিল জল। এতদিন পর বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেও লিগ পর্যায় থেকে বিদায় তারা মেনে নিতে পারবেন না, সেটাই ছিল স্বাভাবিক। তাদের অবস্থা টের পেয়েছিল ফ্রান্সও। তাই খেলার শেষে পেরুর খেলোয়াড়দের সান্ত্বনা দিতে দেখা গেল ফ্রান্সের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে।
এদিন সি গ্রুপের অন্য খেলায় ডেনমার্ককে আটকে দিল অস্ট্রেলিয়া। ১-১ গোলে খেলা শেষ হয়। ফলে ২টি ম্যাচ খেলার পর পয়েন্ট তালিকায় ১ পয়েন্টে থেকেও একটা আশা কিন্তু জিইয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে এদিন পেরুকে হারিয়ে ফ্রান্সের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। ২টি ম্যাচ খেলে ২টিতেই জিতেছে তারা। প্রথম খেলায় হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। গ্রুপে ২ নম্বরে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ডেনমার্ক। গত ম্যাচে পেরুকে হারালেও এদিন তারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে।