২-০ ব্যবধানে এদিন কোস্টারিকাকে হারিয়ে দিল ব্রাজিল। অথচ খেলার প্রথম ৯০ মিনিটে খেলা ছিল গোলশূন্য। ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ৬ মিনিট। আর সেই ৬ মিনিটে পরপর ২টি গোল এল ব্রাজিলের ঝুলিতে। এদিন ৯১ মিনিটের মাথায় গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন কুটিনহো। আর প্রায় শেষ বাঁশি বাজার আগের মুহুর্তে মাপা ক্রসে বল গোলে পাঠান নেইমার। এদিন খেলার শেষ বাঁশি বাজার পর দীর্ঘক্ষণ নেইমারকে জয়ের আনন্দে মাঠে বসে কাঁদতে দেখা যায়। কারণ তিনি জানতেন এই ম্যাচ নিশ্চিত ড্রয়ের মুখ থেকে বাঁচল। প্রায় নিশ্চিত হল শেষ ষোলোর টিকিটও।
কিন্তু এদিন যদি কারও খেলা মনে থেকে যায় তবে তিনি নেইমার নয়, কোস্টারিকার গোলকিপার নামাস। এদিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমণে যায় ব্রাজিল। কোস্টারিকার গোলের সামনে বারবার বড় ধরণের হানা আসে ব্রাজিলের দিক থেকে। কিন্তু জালে বল জড়ানো অধরাই থেকে যাচ্ছিল। ব্রাজিলের আক্রমণে নাজেহাল কোস্টারিকা ডিফেন্সেই সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিল। কোস্টারিকা ব্রাজিলের গোলে হানা দিয়েছে পুরো ম্যাচে হাতে গুণে। এদিকে বারবার আক্রমণে আসা ব্রাজিলের শট ফাঁকফোকর গলে বল যতবার গোলের দিকে ছুটে গেছে ততবারই পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে তা রুখে দিয়েছেন কোস্টারিকার গোলকিপার। কার্যত তাঁর জন্যই ৭০ শতাংশ বল কন্ট্রোল রাখা ব্রাজিল এদিন প্রথম ৯০ মিনিটে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয়। তবে কথায় বলে যার শেষ ভাল তার সব ভাল। এদিন ব্রাজিলের জয় তাদের এই অঘটনের বিশ্বকাপে অনেকটাই অক্সিজেন দিল।