ভাল আক্রমণ আছে। কিন্তু ফিনিশার নেই। এটাই এককথায় এদিন বারবার প্রমাণ হল বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে এবার প্রথম খেলতে আসা আইসল্যান্ডের খেলায়। সেট পিস তৈরি করেও গোলে শট হচ্ছে না। এমনকি পেনাল্টি মিসও যুক্ত হল তাদের এদিনের ম্যাচে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারা নাইজেরিয়ার সামনে এদিন একটাই রাস্তা খোলা ছিল। প্রতিযোগিতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে আইসল্যান্ডকে হারাতেই হত। সেই কাজটা এদিন বেশ সাফল্যের সঙ্গেই করে ফেলল নাইজেরিয়া। যোগ্য দল হিসাবেই এদিন জিতল তারা।
আইসল্যান্ডের অনভিজ্ঞতা কিন্তু তাদের সব ভালটুকুতে এদিন জল ঢেলে দিয়েছে। ভাল খেলেছে। মাপা পাসে এগিয়েছে। কিন্তু নাইজেরিয়ার গোলমুখ পর্যন্ত পৌঁছে বল অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধরে রাখতে পারেনি। যেটুকু শট মেরেছে তা তিন কাঠির মধ্যে থাকেনি। অন্যদিকে এদিন প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার ৪৯ মিনিটের মাথায় দুরন্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ার মুসা। এরপর আইসল্যান্ড চেষ্টা চালালেও নাইজেরিয়ার গতির সঙ্গে তাল করে উঠতে পারছিলনা তারা। আর সেই গতির লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার সৌজন্যেই খেলার ৭৫ মিনিটের মাথায় ফের লম্বা পাস রিসিভ করে দুরন্ত গতিতে আইসল্যান্ডের স্টপার থেকে গোলকিপার সকলকে পরাস্ত করে ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন সেই মুসাই। নাইজেরিয়া এগিয়ে যায় ২-০-তে।
খেলার ৮১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় আইসল্যান্ড। গোল করতে পারলে শুধু ফারাক কমবে তাই নয়, গোটা দলটা আর একটা গোল শোধ করার মত আত্মবিশ্বাস পাবে। কিন্তু ১০ নম্বর জার্সি গায়ে খেলা আইসল্যান্ডের সিগার্ডসন পেনাল্টি মিস করে দলের খেলায় ফেরার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন। মূল পর্বের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ও ইনজুরি টাইমের ৬ মিনিটের খেলায় কোনও গোল আসেনি।
এদিনের জয়ের ফলে নাইজেরিয়ার শেষ ষোলোর পৌঁছনোর আশা জিইয়ে রইল। তবে তাদের শেষ ম্যাচে হারাতে হবে আর্জেন্টিনাকে। ডি গ্রুপে ইতিমধ্যেই ২টি ম্যাচ খেলে ২টি জয়ের সুবাদে শেষ ষোলোর টিকিট পাকা করেছে ক্রোয়েশিয়া। ২ নম্বর দল হিসাবে আর্জেন্টিনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাদের শেষ খেলায় নাইজেরিয়াকে হারাতে হবে। তবে শুধু নাইজেরিয়াকে হারাতেই হবে না। অন্যদিকে আইসল্যান্ডকেও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হবে বা ড্র করতে হবে। ফলে ডি গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচগুলি কিন্তু টানটান হয়ে রইল।