২টি ম্যাচের ২টিই জিতে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে পৌঁছে গেল বেলজিয়াম। পঞ্চম দল হিসাবে শেষ ষোলোয় পৌঁছল তারা। নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে। কারণ বেলজিয়াম যতবার বিশ্বকাপে এসেছে তারমধ্যে মাত্র ১ বারই তারা শেষ ষোলোয় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে বেলজিয়াম যখন এদিন তিউনিসিয়াকে ৫-২ গোলে হারিয়ে পৌঁছে গেল শেষ ষোলোয় সেখানে তিউনিসিয়া কিন্তু হেরে ছিটকে গেল। এদিনের হার নিয়ে বিশ্বকাপে তাদের লাগাতার ১৩ তম হার হল।
এদিন শুরু থেকেই বেলজিয়াম ও তিউনিসিয়া আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলা শুরু করে। টানটান খেলা হতে থাকে। খেলা শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বেলজিয়াম। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ১-০-তে এগিয়ে দেন বেলজিয়ামের হ্যাজার্ড। এরপর খেলার ১৬ মিনিটের মাথায় দারুণ ফর্মে থাকা লুকাকুর গোলে ২-০-তে এগোয় বেলজিয়াম। কিন্তু তার ঠিক ২ মিনিট পর ১টি গোল শোধ করে দেয় তিউনিসিয়া। ব্রনের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। ১৮ মিনিটের মধ্যে ৩টি গোল। বোঝাই যাচ্ছিল খেলায় ২ দলই আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ফলে খেলা চলেছে দুরন্ত গতিতে। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল করে বেলজিয়ামকে আরও এগিয়ে দেন সেই লুকাকু। ফলে প্রথমার্ধের শেষেই বেলজিয়ামের জয় দেখছিলেন দর্শক থেকে বিশেষজ্ঞেরা। তবু ফুটবলে সামান্য সময়ের ব্যবধানে খেলার মোড় ঘুরে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পর খেলার ৫১ মিনিটের মাথায় হ্যাজার্ড আবার গোল করে বেলজিয়ামের জয় কার্যত নিশ্চিত করে দেন। ৪-১-এ এগিয়ে যায় ছন্দে থাকা বেলজিয়াম। অন্যদিকে দলের সেরা গোলকিপার বিশ্বকাপ চলাকালীন কাঁধে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে থাকার ফল যে কতটা ভয়ংকর হয় তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকে তিউনিসিয়া। এরপর বেলজিয়ামের জন্য একের পর এক সুযোগ তৈরি হয়েছে। গোল প্রায় হয় হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জালে বল জড়ানোটা হয়নি। খেলার অন্তিম লগ্নে পৌঁছে অবশেষে সেই খরা কাটে। ৯০ মিনিটের মাথায় ফের গোল পায় বেলজিয়াম। এবার গোল করেন ব্যতসুই। ইনজুরি টাইম যোগ হয় ৩ মিনিট। সেই ইনজুরি টাইমের শেষে খেলা শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহুর্তে একটি গোল শোধ করেন তিউনিসিয়ার অধিনায়ক খাজরি। খেলা শেষ হয় ৫-২ ব্যবধানে।