আগেই জি গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো পাকা করেছিল বেলজিয়াম। এদিন পানামাকে হারিয়ে সেই অবস্থান পাকা করল ইংল্যান্ড। এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে আসা পানামার গ্রুপ লিগেই যাত্রা শেষ হচ্ছে। তবে তাদের আর একটা নিয়ম রক্ষার ম্যাচ রয়ে গেল। এই গ্রুপ থেকে আগেই শেষ ষোলোর আশা শেষ হয়ে গেছে তিউনিসিয়ার। ফলে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই জি গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর ২টি দল স্থির হয়ে গেল। একটি ইংল্যান্ড ও অন্যটি বেলজিয়াম।
এদিন পানামার সঙ্গে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই পানামার গোলে হানা দিতে থাকে ইংল্যান্ড। ৮ মিনিটের মাথায় স্টোনসের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ২২ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড পেনাল্টি পায়। পেনাল্টি কিক নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। অব্যর্থ লক্ষ্যভেদে জালে বল জড়ান তিনি। ৩৬ মিনিটের মাথায় লিঙ্গার্ডয়ের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ৩-০-তে। পানামা প্রায় অসহায় আত্মসমর্পণের রাস্তায় যেতে থাকে। মাঠে একাই রাজত্ব করতে থাকেন ব্রিটিশরা। মাত্র ৪ মিনিট পর ফের গোল। ফের জালে বল জড়ান স্টোনস। ম্যাচে তাঁর দ্বিতীয় গোল হয়ে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের প্রায় শেষ লগ্নে ফের পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন। প্রথমার্ধের শেষে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
প্রথমার্ধের স্কোর পরিস্কার করে দিয়েছিল খেলার ফল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হ্যাট্রিকও সম্পূর্ণ হয়। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে কমই হয়েছে। হ্যারি কেনই হলেন ইংল্যান্ডের তৃতীয় ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করলেন। খেলার ৭৮ মিনিটের মাথায় ৬-০ গোলে পিছিয়ে থাকা পানামা ১টি গোল শোধ করতে সমর্থ হয়। গোল করেন বালয়। এই গোলটা পানামার জন্য ঐতিহাসিক। কারণ বিশ্বকাপে এবারই প্রথম পা দিল পানামা। আর সেই মঞ্চে এটাই পানামার হয়ে প্রথম গোল।