পোল্যান্ডের ফুটবল সম্বন্ধে অনেকেরই একটা ভাল ধারণা আছে। ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবলে মন্দ নয় তারা। কিন্তু সেই পোল্যান্ড এবার মোটামুটি গড়পড়তা দলের গ্রুপেও সবচেয়ে দুর্বল দল হিসাবে নিজেদের প্রতিপন্ন করল। প্রথম ২টো ম্যাচের ২টোই হারল গোহারান। ছিটকে গেল শেষ ষোলোর লড়াই থেকে। গ্রুপ এফ-এ এখন ৩টে দল জাপান, সেনেগাল ও কলম্বিয়ার মধ্যে ১টি দল শেষ ষোলোর টিকিট পাবেনা। আর তা ঠিক হবে তৃতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে।
গত রবিবার জাপান ও সেনেগালের খেলা ছিল টানটান উত্তেজনায় মোড়া। শুরু থেকেই ২টো দলই আক্রমণ হেনে গেছে প্রতিপক্ষের গোলে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। গোল শোধ করতে মরিয়া আক্রমণ হানতে থাকে জাপান। খেলার ৩৪ মিনিটের মাথায় তাকাশি নুইয়ের গোলে অবশেষে খরা কাটে। সমতা ফেরায় জাপান।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ৭১ মিনিটের মাথায় দারুণ ক্রস থেকে কোণাকুণি বল জাপানের জালে জড়িয়ে দেন সেনেগালের মুসা ওয়াগু। ফের জাপানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। ফের শুরু হয় জাপানের গোল শোধ দেওয়ার লড়াই। খেলার ৭৮ মিনিটের মাথায় কিসুকে হন্ডার করা গোলে ফের খেলায় সমতা ফেরায় জাপান। খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। এরফলে ২টি দলই এখন গ্রুপের প্রথম ২টি স্থানে অবস্থান করছে। তবে ড্র হওয়ায় কেউই দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে শেষ ষোলো পাকা করতে পারল না।
অন্য খেলায় দুর্বল পোল্যান্ডকে পেয়েছিল কলম্বিয়া। প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়া কলম্বিয়াকে এদিন টিকে থাকতে জিততেই হত। সহজেই সেই জয় পেল তারা। পোল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল কলম্বিয়া। খেলার ৪০ মিনিটের মাথায় ইউরি মিনার গোলে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। প্রথমার্ধে ১-০-তে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটের মাথায় রাদামেল ফালকাও ব্যবধান আরও বাড়ান। তার ঠিক ৫ মিনিট পর ফের গোল পায় কলম্বিয়া। ৭৫ মিনিটের মাথায় কলম্বিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জুয়ান কাদ্রাদো।