প্রথম খেলায় সৌদি আরবকে ৫ গোলে হারানোর পর থেকে রাশিয়াকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। পরের ম্যাচে মিশরকেও তারা হেলায় হারায়। সোমবার ছিল তাদের তৃতীয় তথা নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে প্রতিপক্ষ ছিল উরুগুয়ে। আর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পড়তেই রাশিয়ার একগুচ্ছ দুর্বলতা হৈহৈ করে সামনে এসে পড়ল। উরুগুয়ে এদিন রাশিয়াকে হারাল ৩-০ গোলে। এতে ২ দলেরই শেষ ষোলোয় পৌঁছনোয় কোনও সমস্যা হল না। তারা খেলতেই নেমেছিল শেষ ষোলো পাকা করে। তবে এদিন উরুগুয়ের কাছে হারায় রাশিয়া হল এ গ্রুপের ২ নম্বর দল। ১ নম্বর উরুগুয়ে। যারা প্রতিটি লিগ ম্যাচই জিতল। বিশ্বকাপে এতদিন ধরে উরুগুয়ে খেলছে, ২ বারের চ্যাম্পিয়নও। কিন্তু এবারই প্রথম তারা লিগের সব ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোয় গেল।
এদিন খেলার শুরু থেকেই উরুগুয়ে মাঠ জুড়ে খেলা শুরু করে। ১০ মিনিটের মাথায় উরুগুয়ের হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তারকা খেলোয়াড় সুয়ারেজ। ২৩ মিনিটের মাথায় রাশিয়ার ডেনিস চেরিসেভের পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় রাশিয়ার গোলে। এই আত্মঘাতী গোলের হাত ধরে ২৩ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। চাপে থাকা রাশিয়ার চাপ আরও বাড়ে খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায়। এই খেলায় তাঁর ২ নম্বর হলুদ কার্ড দেখেন রাশিয়ার স্মোলনিকভ। ফলে লাল কার্ড দেখে তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হয়। ৩৬ মিনিটের পর থেকে রাশিয়াকে ১০ জনেই ৯০ মিনিট শেষ করতে হবে বলে নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু রাশিয়া উরুগুয়ের চেয়ে ২-০-তে পিছিয়ে পড়লেও ও ১ জন কমে যাওয়ার পরও কিন্তু ম্যাচে আর গোল খাচ্ছিল না। অনেকগুলো সুবর্ণ সুযোগ পায় উরুগুয়ে। সেখানে হয় রাশিয়ার গোলকিপার বল আটকে দিয়েছেন অথবা সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে সুয়ারেজের দল। খেলার ৯০ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল আসে উরুগুয়ের ঝুলিতে। এই বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেন কাভানি। উরুগুয়ে এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত এই স্কোরই বজায় ছিল।
এদিন গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সৌদি আরব ও মিশর। এই বিশ্বকাপে এটাই ছিল তাদের শেষ ম্যাচ। নিময় রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে কিন্তু মিশরকে পরাজিত করল সৌদি। খেলার ২২ মিনিটের মাথায় কিন্তু মিশরের তারকা ফুটবলার সালাহ-র গোলে এগিয়ে যায় মিশর। প্রথমার্ধের শেষে পৌঁছে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন সৌদি আরবের সলমন আল ফারাজ। দ্বিতীয়ার্ধে ৯০ মিনিটের পর ইনজুরি টাইম যোগ হয় ৫ মিনিট। সেই ইনজুরি টাইমের শেষে পৌঁছে সৌদির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সালেম আল দসারি। ম্যাচে একটি পেনাল্টি পেয়েও নষ্ট করে মিশর। এদিন মিশরকে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপের তৃতীয় দল হল সৌদি আরব। গ্রুপ লিগের ৩টি ম্যাচের ৩টিই হেরে চতুর্থ দল হল মিশর।