গ্রুপ বি-তে মরক্কোর সম্ভাবনা না থাকলেও ইরানের ছিল। পর্তুগালকে হারাতে পারলেই শেষ ষোলো পাকা ছিল তাদের। প্রথমার্ধের শেষে ৪৫ মিনিটের মাথায় রিকার্ডো কুয়ারেসমার জোরাল শট ইরানের গোলে জড়াতেই পর্তুগাল ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডোকে ইরানের বক্সের মধ্যে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইরানের হাজসাফি। পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। সেই পেনাল্টি নিতে আসেন স্বয়ং রোনাল্ডো। মেসি পেনাল্টি মিস করেছিলেন আগেই। এদিন মিস করলেন রোনাল্ডোও। তাঁর শট আটকে দেন ইরানের গোলরক্ষক।
খেলার শেষের দিকে এসে একবার ওপেন নেট পেয়েও গোল করতে পারেনি ইরান। তবে ৯০ মিনিট খেলার পর ইনজুরি টাইমের ৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় তারা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে দেন করিম আনসারিফাদ। খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। শর্ত ছিল শেষ ষোলো পাকা করতে পর্তুগালকে কেবল ড্র করতে হবে। সেই কাঙ্ক্ষিত ড্র তারা পেয়ে চলে গেল নক আউটের লড়াইয়ে। আর ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ফেরার তোরজোড় শুরু করল বিশ্বকাপে নিজেদের একটা ছাপ রেখে যাওয়া ইরান। এদিন কিন্তু রোনাল্ডো পেনাল্টিই মিস করেননি, দেখেছেন হলুদ কার্ডও।
অন্যদিকে গ্রুপের অন্য ম্যাচে শক্তিশালী স্পেনকে রুখে দেয় মরক্কো। যে মরক্কোকে গত ২ ম্যাচে দেখা গেছে এদিনের মরক্কো ছিল তার চেয়ে আলাদা। স্পেনের সঙ্গে লাগাতার পাল্টা আক্রমণ কিন্তু চালিয়ে যায় তারা। তার ফলও আসে হাতেনাতে। স্পেনকে রুখে দিতে সমর্থ হয় তারা। শুধু রুখে দেওয়া কেন হারিয়েও দিতে পারত। শেষ মুহুর্তে ইনজুরি টাইমের গোলে সমতা ফেরায় স্পেন।
এদিন খেলা শুরুর পর ১৪ মিনিটের মাথায় মরক্কোর খালিদ বুতাইব গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। পিছিয়ে পরে মরিয়া আক্রমণ হেনে স্পেন গোল শোধ করে খুব তাড়াতাড়ি। ১৯ মিনিটের মাথায় ইসকোর গোলে ১-১ হয় খেলার ফল। এরপর ২ পক্ষই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খোলার চেষ্টা চালালেও তাতে লাভ কিছু হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও ২ পক্ষ বেশ কিছু গোল করার সুযোগ পায়। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। অবশেষে ৮১ মিনিটের মাথায় নাসিরির দুরন্ত গোলে ফের এগিয়ে যায় মরক্কো। এই সময়ে গোল খেয়ে হারের মুখে পড়ে যায় স্পেন। ৯০ মিনিটের খেলায় তারা ১ গোলে পিছিয়েই ছিল। কিন্তু এখানেও সেই ইনজুরি টাইমের গোল বাঁচিয়ে দিল তাদের। ল্যাগো এসপাসের গোলে খেলায় কোনওক্রমে সমতা ফেরায় স্পেন। পৌঁছে যায় শেষ ষোলোয়।
শেষ ষোলো থেকে এবার হারলেই বাড়ি। ফলে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়ার জায়গা নেই কোনও দলের। পয়লা জুলাই সেখানে স্পেন মুখোমুখি হচ্ছে রাশিয়ার। আর পর্তুগাল খেলবে উরুগুয়ের সঙ্গে। যে হারবে সেই আউট।