অঙ্ক কিছু ছিল। তবে সবই মিলে গেছে। আগে নাইজেরিয়ার কাছে আইসল্যান্ড হেরেছে। তারপর গত মঙ্গলবারও আইসল্যান্ড ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছে। আর্জেন্টিনার দরকার ছিল একটা জয়ের। সেটাও তারা পেয়ে গেল বড় একটা কষ্ট না করেই। নাইজেরিয়ার রক্ষণ নিয়ে মঙ্গলবার কার্যত খেলা করেছে আর্জেন্টিনা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাইজেরীয় রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়ছিলেন মেসি, হিগুয়েনরা। খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় লম্বা পাসকে নিখুঁত রিসিভ করে জোড়াল শটে নাইজেরিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি। এই বিশ্বকাপে এটাই তাঁর প্রথম গোল। পিছিয়ে পড়েও যে আক্রমণ তেমন করতে পেরেছে নাইজেরিয়া তা কিন্তু নয়। বরং পরপর আক্রমণে তাদের নাজেহাল করে ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। কোনওক্রমে গোল আটকে গেছে। একটা ফ্রি কিক থেকে তো মেসির শট গোলকিপারের আঙুলের ডগায় লেগে বার পোস্টে লেগে ফেরে। নাহলে ওই মাপা শটে গোল ছিল অবধারিত।
দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু কিছুটা বদলায় নাইজেরিয়ার খেলা। এটাই হচ্ছিল এতদিন। দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়া বেশি ভাল খেলছিল। মঙ্গলবারও তাই হয়। তবে জেতার মত খেলা খেলছিল না। ৫১ মিনিটের মাথায় একটা পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। আর তাতে আর্জেন্টিনার গোলে বল ঢোকাতে এতটুকু ভুল করেননি তাদের তারকা খেলোয়াড় ভিক্টর মোসে। খেলা ১-১ অবস্থায় ফের আর্জেন্টিনা জন্য আবার চাপ বাড়ে। আক্রমণ হচ্ছিল। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। পাল্টা বেশ কিছু দারুণ সুযোগ তৈরি করে নাইজেরিয়াও। অবশেষে খেলার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে ৮৬ মিনিটের মাথায় মাকোর্স রোজোর গোলে ২-১-এ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। খেলার শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত এটাই ছিল স্কোর।
অনেক অঙ্ক, তর্ক হওয়ার পরও এই গ্রুপ থেকে কিন্তু প্রত্যাশামতই ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোয় গেল। ছিটকে গেল নাইজেরিয়া ও আইসল্যান্ড। শেষে ষোলোর লড়াইয়ে আগামী শনিবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামছে আর্জেন্টিনা। এখান থেকে হার মানেই বাড়ির জন্য ব্যাগ গোছানো। অন্য খেলায় ডেনমার্ক খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।