সার্বিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল ব্রাজিল। জিতল ২-০ ব্যবধানে। খেলায় গোলমুখ যতবার খুলেছে ততগুলো গোল কিন্তু হয়নি। বুধবার একা নেইমার যতগুলো সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছেন তার অর্ধেকও গোল হলে ব্রাজিল জেতে অন্তত হাফ ডজন গোলে। অন্যদিকে সার্বিয়া এদিন কঠিন লড়াই দিলেও ব্রাজিলের গোলমুখ তেমন খুলে উঠতে পারেনি। তবে যে কটা খুলেছে তার কয়েকটা অব্যর্থ গোল হতে পারত। যা তারা হেলায় হাতছাড়া করেছে।
খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায় পাওলিনহোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। প্রথমার্ধে ১-০-তে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটের মাথায় থিয়েগো সিলভার গোলে ব্যবধান বাড়ায় ব্রাজিল। খেলা শেষেও এই ফলই বজায় ছিল। এদিনের জয়ের ফলে ই গ্রুপে ১ নম্বরে থেকে গ্রুপ লিগ শেষ করল ব্রাজিল। অন্য খেলায় সুইৎজারল্যান্ড কোস্টারিকার খেলা ২-২ গোলে ড্র হয়। তবে কপাল খারাপ কোস্টারিকার। খেলা শুরুর পর থেকে তাদের যতগুলো শট সুইৎজারল্যান্ডের গোলপোস্টে লেগে ফেরত এসেছে সেগুলো গোল হলে এদিন সুইৎজারল্যান্ডকে ডাহা হারতে হত কোস্টারিকার কাছে। এদিন খেলার শুরু থেকে কোস্টারিকার দাপট বজায় ছিল। পাল্টা আক্রমণ করছিল সুইৎজারল্যান্ডও। খেলার ৩১ মিনিটের মাথায় সুইস ফরোয়ার্ড ব্লেরিম ডিজেমাইলির জোড়াল শট কোস্টারিকার জালে জড়িয়ে যায়। এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটের মাথায় কেন্ডাল ওয়াস্টনের দুরন্ত হেড সুইস গোলে ঢুকতেই খেলায় সমতা ফেরে। এরপর খেলার প্রায় শেষে পৌঁছে ৮৭ মিনিটের মাথায় জোসিপ ডিরমিকের গোলে ফের এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। এমন সময়ে এগোয় যেখান থেকে কোস্টারিকার ফিরে আসার সময় বড় একটা হাতে ছিলনা। কিন্তু তার মাত্র ৩ মিনিট পর ৯০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় কোস্টারিকা। সেই পেনাল্টির জোড়াল শট সুইৎজারল্যান্ডের ক্রসবারে লেগে ফিরে আসার সময়ে গোলকিপারের গায়ে লেগে যায়। গোলকিপারের গায়ে লাগায় মাঠের দিকে ফিরতে থাকা বল ফের গোলের দিকে ছুটে যায়। জড়িয়ে যায় জালে। খেলায় সমতা ফেরে। সেই ২-২ সমতা শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। তবে এদিনের ড্র তাদের শেষ ষোলোয় পৌঁছনোয় কোনও সমস্যা করেনি। সুইৎজারল্যান্ড দ্বিতীয় দল হিসাবে পৌঁছে যায় শেষ ষোলোয়। গ্রুপ ই থেকে বিদায় নিল কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আগামী সোমবার ব্রাজিল খেলবে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে। আর আগামী মঙ্গলবার সুইৎজারল্যান্ড খেলবে সুইডেনের বিরুদ্ধে।