ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ লিগের সবকটি ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোয় পৌঁছল বেলজিয়াম। যদিও এটা নিয়মরক্ষার ম্যাচ ছিল। বলা ভাল জি গ্রুপে ১ ও ২ নম্বর অবস্থান কে পাবে তার লড়াই ছিল। কিন্তু সেইসঙ্গে যেটা ছিল তা হল ২ দলই দেখে নিল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলে তাদের অবস্থানটা ঠিক কোথায়। কারণ গ্রুপের অন্য ২টি দলই তুলনামূলকভাবে ছিল অনেকটা দুর্বল। তিউনিসিয়া ও পানামাও এদিন খেলতে নামে নিয়মরক্ষা করতেই। কারণ আগেই তারা শেষ ষোলোর সুযোগ হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে পানামাকে হারিয়ে গ্রুপে ৩ নম্বর জায়গা নিশ্চিত করে তিউনিসিয়া।
জি গ্রুপে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের ম্যাচের দিকেই নজর ছিল সবার। আর সেই ম্যাচে ২ দলই সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলায় ওপেন নেট মিস করেছে ২ দলই। যা অবশ্যই তাদের আগামী দিনে চিন্তায় রাখবে। কারণ এদিন চাপমুক্ত ম্যাচেই যদি গোলমুখে তাঁরা চাপে পড়ে যান, তাহলে নক আউটের চাপ সামলানো নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার ৫১ মিনিটের মাথায় জোরাল শটে ইংল্যান্ডের গোলে বল জড়িয়ে দেন বেলজিয়ামের আদনান জানুজাজ। তাঁর করা গোলে বেলজিয়াম ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর ইংল্যান্ড সুযোগ পেলেও গোল শোধ করে উঠতে পারেনি।
অন্য খেলায় পানামার বিরুদ্ধে পাল্লা ভারী ছিল তিউনিসিয়ার। যদিও খেলার ৩৩ মিনিটের মাথায় পানামার ফরোয়ার্ডের করা জোরালো শট তিউনিসিয়ার ইয়াসিন মেরিয়ার গায়ে লেগে তিউনিসিয়ার গোলে জড়িয়ে যায়। আত্মঘাতী গোল হিসাবেই বিবেচিত হয় গোলটি। পানামা এগিয়ে যায় ১-০-তে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫১ মিনিটের মাথায় বেন ইউসুফের গোলে সমতা ফেরায় তিউনিসিয়া। ম্যাচে গোল করার সুযোগ ২ দল পেলেও সুযোগের পাল্লা ভারী ছিল তিউনিসিয়ার। খেলার ৬৬ মিনিটের মাথায় ওয়াবি খাজরির গোলে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় তিউনিসিয়া। এটাই শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত খেলার স্কোর থেকে যায়।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বেলজিয়াম খেলবে জাপানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড খেলবে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে।