বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ১৬টি দল। পড়ে আছে শেষ ষোলো। যেখান থেকে নক আউট শুরু। আর সেই হারলেই বিদায়ের পর্ব শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। যেখানে প্রথম দিনেই থাকছে ২টি খেলা। ২টি খেলায় গোটা বিশ্বের নজর থাকবে ২ মহাতারকার ওপর। তাঁদের দেশও হয়তো সবচেয়ে বেশি চেয়ে থাকবেন তাঁদের মুখের দিকে। একটিতে নামছেন মেসি। আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্সের। ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৭টায় শুরু খেলা। অন্য খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও উরুগুয়ে। যেখানে পর্তুগালবাসী তো বটেই, গোটা বিশ্ব চেয়ে থাকবে রোনাল্ডোর দিকে।
আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্যায়ে কিন্তু তেমন দুরন্ত খেলার সাক্ষর রাখতে পারেনি। বরং অনেক অঙ্ক মিলে যাওয়ায় শেষ ষোলোর টিকিট জিতেছে তারা। কিন্তু নক আউটের স্পিরিটটাই অন্য। ২ দলই জানে কোনও অঙ্ক নয়, হার মানেই বিদায়। ফলে জিততেই হবে। আর সেই জেতার লড়াইতে তারা তাদের সবটুকু উজাড় করায় কুণ্ঠা বোধ করেনা। এদিন আর্জেন্টিনা যেমন মেসিকে সামনে রেখে জেতার লড়াইয়ে ঝাঁপাবে, প্রতিপক্ষ ফ্রান্সও কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকবেনা। গ্রুপ পর্যায়ে ফ্রান্সের পারফর্মেন্স কিন্তু ভাল। দলে রয়েছেন গ্রীজম্যানের মত তারকা। ফলে পিছিয়ে নেই তারাও। একদিকে ফ্রান্সের ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার লাতিন আমেরিকান ঘরানা। ফলে কেউ কারও চেয়ে কম যাবেনা। তবে শহর কলকাতায় ফ্রান্সের সমর্থক দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়। আর্জেন্টিনার সমর্থক অগুনতি। তাই শনিবার সন্ধেয় নীল-সাদার হয়ে গলা ফাটাবে কলকাতা।
অন্য খেলায় ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও উরুগুয়ে। পর্তুগাল মানেই যেমন রোনাল্ডো। যাঁকে সামনে রেখে এদিন জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে গোটা দল। অন্যদিকে উরুগুয়েও কিন্তু চেয়ে থাকবে সুয়ারেজ, কাভানির দিকে। শক্তির প্রশ্নে তারাও কম যায়না। পর্তুগালের বড় পাওনা অবশ্যই রোনাল্ডো। কিন্তু বাকি দলটার কোনও খেলোয়াড় কিন্তু গ্রুপ পর্যায়ে চোখে পড়ার মতন ছিলেন না। এখন এটাও হতে পারে যে ইচ্ছে করেই আস্তিনের তাস নক আউটের জন্য রেখে খেলেছে দলটা। তবে উরুগুয়ে কিন্তু এতটুকুও জমি এদিন ছাড়বে না। ফলে এখানেও সেই ইউরোপীয় ঘরানা ও লাতিন আমেরিকান ঘরানার দুরন্ত লড়াই জমিয়ে দেবে সবুজ গালিচা।