ইংল্যান্ডের এদিন কার্যত ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল কলম্বিয়া। যেভাবে হ্যারি কেনের দলকে এদিন মাঠে বেঁধে রাখলেন কলম্বিয়ার খেলোয়াড়েরা তাতে কিন্তু ম্যাচের ফল উল্টোও হতে পারত। অবশেষে টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল পাকা করল ইংল্যান্ড। শেষ আটে তারা মুখোমুখি হবে সুইডেনের।
খেলার শুরুতেই তেমন বড় আক্রমণ দেখা না গেলেও ১৫ মিনিটের মাথায় একটি ক্রস থেকে দারুণ হেড দেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন। কিন্তু সেই বল অল্পের জন্য গোল মিস করে। প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু ঘটেনি। খেলা চলেছে সমানে সমানে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের কর্নার থেকে একটি ভাসানো বলে হেড করার জন্য যখন সকলেই প্রায় লাফ দিয়েছেন তখনই পেনাল্টি বক্সে ইংল্যান্ডের এক খেলোয়াড়কে ঠেলে ফেলে দিয়ে ফাউল করেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার। যার ফলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। পেনাল্টিতে অব্যর্থ শটে বল জালে জড়িয়ে দেন কেন। ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
এরপর কলম্বিয়া চেষ্টার ত্রুটি না রাখলেও গোল হয়নি। ৯০ মিনিট খেলার পর ইনজুরি টাইম মেলে ৫ মিনিট। তার প্রথম ২ মিনিটের মাথায় কলম্বিয়ার একটি দূরপাল্লার জোড়াল শট ইংল্যান্ডের গোলকিপার ফিস্ট করে দেন। কিন্তু খেলা শেষের ঠিক আগেই কলম্বিয়া একটি কর্নার আদায় করে নেয়। আর সেই কর্নার থেকে ভাসানো বলে হেড করে বল ইংল্যান্ডের জালে জড়িয়ে দেন কলম্বিয়ার সেন্টার ব্যাক ইয়েরি ফার্নানান্দো মিনা গঞ্জালেজ। সমতা ফেরে খেলায়। শেষ মুহুর্তে এসে জমে যায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে দু দলের খেলোয়াড়দেরই কিছুটা ক্লান্ত ঠেকেছে। ফলে প্রবল আক্রমণ দেখা যায়নি। একটাই ভাল সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু গোল হয়নি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারের প্রথম ২টি করে শট অনায়াসে গোলে ঢোকায় ২ দল। তৃতীয় শটে কলম্বিয়া গোল পেলেও ইংল্যান্ডের বল আটকে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু চতুর্থ শট নিতে এসে কলম্বিয়ার খেলোয়াড় বল সোজা মারেন ক্রস বারে। বেঁচে যায় গোল। ইংল্যান্ড কিন্তু গোলে বল জড়াতে এবার ভুল করেনি। ৪টে করে শটের পর ফল দাঁড়ায় ৩-৩। পঞ্চম শটে কলম্বিয়ার বল রুখে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক। ইংল্যান্ড তাদের শেষ শটে গোল করলেই কোয়ার্টার ফাইনাল পাকা। এই অবস্থায় এতটুকু ভুল করেনি ইংল্যান্ড। দারুণ শটে বল জালে জড়াতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় থেকে দর্শক। কলম্বিয়ার শিবিরে তখন শুধুই হতাশা। এত লড়েও এবারের মত তাদের বিশ্বকাপের দৌড় শেষ। তা তারা বিলক্ষণ জানতেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল শেষ আটে। সেখানে তারা মুখোমুখি সুইডেনের।