কখনও তিনি আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন। কখন উচ্ছ্বাস সামলাতে না পেরে পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির সঙ্গে তালি দিলেন। কখনও নাচের ভঙ্গিতে পা দোলালেন। কখনও দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুশির বন্যায় ভেসে গেলেন। কখনও দলের ড্রেসিং রুমে কোচ থেকে খেলোয়াড়দের জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন। তিনি আর কেউ নন। স্বয়ং ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার কিতরোভিচ। এই মধ্যবয়স্কা সুন্দরীর উচ্ছ্বাস দেখে বিশ্বাস করা মুশকিল যে তিনি কোনও দেশের প্রেসিডেন্ট! ফলে সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেইসঙ্গে সকলেই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট সুলভ তথাকথিত প্রোটোকলের বাইরে বেরিয়ে দেশের ফুটবল দলকে যেভাবে তিনি উৎসাহ যোগালেন তা একটা উদাহরণ তৈরি করল। তৈরি করল প্রেসিডেন্ট পদে থেকেও ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশের নয়া সংজ্ঞাও। যেখানে দেশের সর্বময় কর্তা দেশের অন্যতম সাফল্যে একজন সাধারণ দেশবাসীর মতই উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত। স্বয়ং দেশের প্রেসিডেন্টের এমন উৎসাহ প্রদানে উচ্ছ্বসিত গোটা ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দলও।
ক্রোয়েশিয়ার জার্সি গায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে যে মহিলা ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে খেলা দেখছিলেন সেই সুন্দরী কে তাই বোঝা যাচ্ছিল না। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া গোল দিলে তাঁকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে করমর্দন করতে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল টিভির পর্দায়। তখনই প্রশ্ন উঠছিল কে এই মহিলা? যিনি মেদভেদেভ বা ফিফা প্রেসিডেন্টের পাশে বসে এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন! তখন চেনা না গেলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল তিনি যে সে কেউ নন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়তেই জানা যায় তিনি সত্যিই যে সে কেউ নন। তিনি ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছনো ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে যিনি নিজেও এখন বিশ্বজুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার)