সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিনটিনকে হারিয়ে দিল অ্যাস্টেরিক্স। ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও ইতিহাস গড়া হলনা। বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনো অধরাই রয়ে গেল বেলজিয়ামের। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
মঙ্গলবার খেলার শুরু থেকেই বোঝা গিয়েছিল ২ দলই দারুণ হোমওয়ার্ক করেছে। আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল ছবির মত। তবে খেলায় কিন্তু শুরু থেকে প্রতিপত্তি ছিল বেলজিয়ামেরই। মাঝেমধ্যে অবশ্য ফ্রান্স যে আক্রমণ হেনেছে তাতে গোল প্রায় হয়েই যেতে পারত। খেলার ১২ মিনিটের মাথায় এমবাপেকে দেওয়া দুরন্ত পাসে গোল হতেই পারত। কিন্তু বেলজিয়ামের গোলমুখে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন ফ্রান্সের এই তরুণ প্রতিভা। ১৮ মিনিটের মাথায় আবার বেলজিয়ামের করা গোলমুখী জোড়াল শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টে নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার। ভাগ্য জোরে সেই বল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে পাওয়া বলে বুলেটের মত শট করে বল জালে জড়ানোর ব্যবস্থা পাকা করে বেলজিয়াম। কিন্তু সেই শট ঝাঁপ দিয়ে ফিস্ট করে দেন গোলরক্ষক। ৩৮ মিনিটে পাল্টা সুযোগ পায় ফ্রান্স। এক্ষেত্রে আবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার ৫০ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে একদম সেট পিস মুভমেন্ট। ভাসানো বলে নিখুঁত হেড করেন ফ্রান্সের স্যামুয়েল উমতিতি। বল জড়িয়ে যায় জালে। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। ৫৫ মিনিটের মাথায় ফের ফ্রান্স গোল পেতে পারত। কিন্তু এখানেও গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দেন গোল। ৬৮ মিনিটের মাথায় ফ্ল্যাঙ্ক থেকে দারুণ একটা ক্রসে হেড করলেও বল বেরিয়ে যায় ফ্রান্সের গোলপোস্টের পাশ দিয়ে। নিশ্চিত গোল হাতছাড়া হয় বেলজিয়ামের। খেলার ৮০ মিনিটের মাথায় ফের আসে সুযোগ। ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে বেলজিয়ামের করা বুলেটের মত শট গোলের দিকে ছুটে আসছিল। সেই বল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক। এবারও সুযোগ হাতছাড়া হয় ডার্ক হর্সদের।
৯০ মিনিট খেলার পর ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইম ধার্য হয়। তার প্রায় শেষে এসে ফ্রান্স একদম ফাঁকা গোলের সামনে বল পেয়ে যায়। অনায়াসে দ্বিতীয় গোলটা হতে পারত। কিন্তু এই অবস্থায় ফের বেলজিয়ামের গোলরক্ষকের কামাল। গোলমুখী শট ফিস্ট করে বার করে দেন তিনি। খেলা শেষের বাঁশি বাজতেই ফাইনালে পৌঁছনোর আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রিজম্যান, এমবাপেরা। অন্যদিকে লাল জার্সি গায়ে বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের চোখেমুখে শুধুই হতাশা। ইতিহাসকে না ছুঁতে পারার যন্ত্রণা।