২০১৮-র আগে বিশ্বকাপ ফুটবলে বেলজিয়ামের সেরা অবস্থান ছিল চতুর্থ স্থান। এবার সেই পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল তারা। ইংল্যান্ডকে তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে পরাজিত করে তৃতীয় হল তারা। দেশের হয়ে গড়ল ইতিহাস। এখনও পর্যন্ত সেরা পারফর্মেন্স উপহার দিল দেশবাসীকে।
শনিবার খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। একটি নিখুঁত ক্রসে পা ঠেকিয়ে তা ইংল্যান্ডের গোলে চালান করেন থমাস মুনিয়ের। মুনিয়েরের শট আটকানোর চেষ্টাও করেন গোলরক্ষক। কিন্তু বল তাঁরে পায়ে সামান্য ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধে এর পরও বেশ কিছু দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। একবার গোলমুখে কার্যত ফাঁকা বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। অন্যদিকে এদিন একটি সুবর্ণ সুযোগ পান হ্যারি কেনও। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক সেই বল গোলে পাঠাতে ব্যর্থ হন। বল বারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটের পর থেকে ক্রমশ বেলজিয়ামের গোলমুখে আক্রমণ বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড। সুযোগও আসে। ৬৯ মিনিটের মাথায় ডায়ার একটা পাস পায়ে পান একেবারে বেলজিয়ামের গোলের সামনে। শট নেন। গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল ঢুকে যাচ্ছিল গোলে। কিন্তু গোলে ঢোকার কয়েক ইঞ্চি আগে চিলের মত এসে সেই বলও ক্লিয়ার করে দেন বেলজিয়ামের খেলোয়াড়। আশ্চর্য রক্ষা যাকে বলে ঠিক তাই। গোল বাঁচে। এরপর ৭৫ মিনিট পর্যন্ত কার্যত ৬ মিনিট টানা বেলজিয়ামের গোলের মুখেই ইংল্যান্ড দাঁড়িয়েছিল। কখনও কর্নার পেয়েছে। কখনও দারুণ পজিশন থেকে ফ্রি কিক। কিন্তু কোনও চেষ্টাকেই গোলে পর্যবসিত করে উঠতে পারেনি তারা। বরং ৭৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বেলজিয়াম প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ গোলরক্ষকের দক্ষতায় সেই বল গোলে ঢোকার আগেই আটকে যায়। যদিও তার ৩ মিনিট পর ৮২ মিনিটের মাথায় একটি থ্রু পাস পায়ে নিয়ে ইংল্যান্ডের গোলমুখে ছুটতে শুরু করেন বেলজিয়ামের হ্যাজার্ড। তাঁকে রোখার চেষ্টায় ছুটতে থাকেন ইংল্যান্ডের স্টপারও। কিন্তু হ্যাজার্ডের গতির সঙ্গে তিনি পেরে ওঠেননি। গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জোড়াল শটে ইংল্যান্ডের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন হ্যাজার্ড। বেলজিয়াম এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। এরপর আর খেলায় ফিরে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। এদিন কিন্তু পুরো খেলা জুড়েই হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে বড় ক্লান্ত ঠেকেছে। যেন খেলাটা কোনওরকমে খেলে ফিরতে পারলে তাঁরা বাঁচেন।