এ ভারতের এক চলমান ইতিহাস তিনি। কেননা তাঁর চোখের সামনে গোটা ভারতের অনেক উত্থানপতন সংঘটিত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসন বদলে স্বাধীন ভারত হয়েছে। দুনিয়া বদলে গেছে আমূল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইতিহাস, ভূগোল সব গেছে বদলে। তিনি সব দেখেছেন। হবে নাই বা কেন! তাঁর বয়স যে এখন ১০৫! আর ১০৫ বছর বয়স বলে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই যে তিনি যথেষ্ট সচেতন নন। এখনও তিনি বুথে এসে ভোট দেন। যেমন দিলেন বৃহস্পতিবার। তবে আর হেঁটে আসতে পারেননা। হুইলচেয়ারে আনতে হয়।
তিনি কাবাইবাঈ গণপতি কাম্বলে। মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার এখানে ভোট ছিল। তাই সকালেই হুইল চেয়ারে ভোট দিতে হাজির হন হারাঙ্গুল নিউ কলোনিতে তাঁর নির্দিষ্ট বুথে। তাঁকে বুথ পর্যন্ত নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। ভারতবাসী হিসাবে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে ১০৫ বছরেও পিছপা নন কাবাইবাঈ। নিজের ভোট নিজেই দিলেন এই শতবর্ষ পার করা বৃদ্ধা।
বৃহস্পতিবার বুথে পৌঁছতেই ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররা চমকে ওঠেন। এই বয়সেও ভোট দিতে যে কেউ আসতে পারেন তা বোধহয় অনেকেরই কল্পনার অতীত। প্রথমে অবাক হলেও তারপর ভোটাররা সকলেই হাততালি দিয়ে তাঁর এই ইচ্ছাশক্তির তারিফ করেন। তাঁকে উৎসাহ দেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)