রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ। ছোটখাটো ঘটনা ঘটেই থাকে। তবে কোনও বড় ধরণের অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর পর থেকে চোপড়া ছিল সবচেয়ে অশান্ত। বিবেক দুবে বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চোপরার ১৮০ নম্বর বুথে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট করালেই তাঁরা ভোট দিতে যাবেন। পরে তাঁরা সুরক্ষাবাহিনীর ঘেরাটোপেই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানান বিবেক দুবে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের যে ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল তাতে চোপরাতেই সবচেয়ে বড় অশান্তির খবর মিলেছে। ইসলামপুরে ভাঙচুর হয়েছে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের গাড়ি। এছাড়া ইভিএম-এ সমস্যা। বুথের সামনে কথা কাটাকাটি। এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। এর বাইরে দ্বিতীয় দফার ভোট কেটেছে শান্তিতেই। ভোট কভার করতে গিয়ে একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। দুপুরে জলপাইগুড়ির একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে গুলি চলে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। যদিও পুলিশের তরফে গুলি চলার কথা নিশ্চিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হল। সর্বত্রই ভোটারদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ নজর কেড়েছে। মোট ৯৫টি কেন্দ্রে এদিন ভোটগ্রহণ হয়। ৭ দফার সবকটিতেই নির্বাচন রয়েছে ৩ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। কোথাও বড় কোনও ঘটনার খবর মেলেনি।