বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট ছিল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। এখানে শিকারপুরের একটি বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন পবন কুমার। দলিত হিসাবে পরিচিত পবন ভোট দেওয়ার পরই বুঝতে পারেন তিনি যে প্রতীকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন সেই প্রতীকে তিনি ভোট দেননি। এদিকে ভোট তো দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আঙুলে কালিও পড়ে গিয়েছে। পবন বুঝতে পারেন আর ভোট বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর ভোট হয়ে গেছে।
এরপরই পবন কুমারের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি জানান, ভোটিং মেশিনে অনেকগুলি প্রতীক থাকায় তিনি গুলিয়ে ফেলেন। তিনি চেয়েছিলেন হাতি চিহ্নে ভোট দিতে। কিন্তু ভুল করে দিয়ে ফেলেন পদ্মে। অর্থাৎ বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী যোগেশ বর্মাকে তিনি ভোট দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভুল করে বিজেপি প্রার্থী ভোলা সিংকে ভোট দিয়ে ফেলেন। পবন কুমারের বক্তব্য তিনি একজন দলিত তাই তাঁর নাকি বহুজন সমাজ পার্টিকে ভোট দেওয়া কর্তব্য।
ভুল চিহ্নে ভোট দিয়ে ফেলায় নিজের ওপর রাগ পেয়ে বসে তাঁর। তাঁর মতে, আঙুলে লাগা কালির দাগ তাঁকে বারবার মনে করাচ্ছিল ভুল করে তিনি অন্য দলকে ভোট দিয়ে এসেছেন। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি ওই কালি লাগা আঙুলটাই কেটে ফেলেন। একটা ভুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেকে শাস্তি দিতে হাতে তর্জনী কেটে ফেলার ঘটনা সামনে আসতে রীতিমত হতবাক মানুষজন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)