একেবারে খাতায় কলমে এখন গ্রীষ্মকাল। সবে বসন্ত বিদায় নিয়েছে। পারদ চড়ছে সমতলে। চাঁদিফাটা গরমে দমবন্ধ অবস্থা ক্রমশ তৈরি হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই দিনের সর্বোচ্চ পারদ প্রায় ৪০ ছুঁয়েছে। গরমের এই ক্লান্তিকর দিনগুলিতে যখন সমতলে মানুষ টিকতে পারেননা, তখন পাহাড়ি পর্যটনের পোয়াবারো। প্রতি বছরই দেখা যায় পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে গরমের দিনে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। ফলে সেখানে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা রমরম করে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সিমলা, কুলু, মানালি বা হিমাচলের বিভিন্ন পাহাড়ি বেড়ানোর জায়গা।
প্রতি বছর গরমের সময় উইকএন্ডে সিমলা বা তার আশপাশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার মানুষ হাজির হন। গরম থেকে ভরা বর্ষার শুরু পর্যন্ত সপ্তাহান্তে সিমলা সহ হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে গড়ে ১৫ হাজার মানুষ বেড়াতে আসেন। ফলে এই সময়ে এখানকার হোটেলে ঘর পাওয়া মুশকিল হয়। বেজায় খুশি থাকেন হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীমহল। কিন্তু এবার সে গুড়ে বালি! ভোটের গরম হাওয়ায় পাহাড়ি এসব হোটেল এখন সপ্তাহান্তেও মাছি তাড়াচ্ছে।
ভোটের সময় প্রচার, জনসভাকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি বেহাল থাকে। অনেক রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ভোটের সময় অনেকেই বেশি দূরে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননা। হিমাচলে সপ্তাহান্তে যে ভিড় হয় তার অধিকাংশই আসেন হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এসব জায়গা থেকে।
অনেকেই গাড়ি নিয়ে শনি, রবিবারটা কাটিয়ে যান সিমলা বা অন্য পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। এবার তাঁরাই এখানে আসার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। ফলে মাথায় হাত পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। তবে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য পর্যটন দফতরের আশা ভোট মিটলেই ফের পর্যটকরা ভিড় জমাবেন এখানে। সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে পর্যটকের ভিড় উপচে পড়বে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)