Kolkata

মোদী মুখোশ বনাম তৃণমূল শাড়ি, চৈত্রে পৌষ মাস বিক্রেতাদের

ভোটের দামামা বাজতেই বড়বাজারের বেশ কিছু দোকানে দম ফেলার সময় নেই মালিক থেকে কর্মচারিদের। দিনরাত এক করে কাজ চলছে। লক্ষ লক্ষ টাকার অর্ডার। তাও প্রতিদিন। যোগান তো সময়মত দিতে হবে! তাই ফুরসত নেই। এমন রোজগারের সময় কমই আসে। ভোটের বছরে এই কটা দিন তাই কোনও দিকে তাকানোর সময় নেই। কিসের এত যোগান?

সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৃণমূলের জোড়া ফুল প্রতীকের শাড়ির। শাড়ির আঁচলে বড় করে তৃণমূলের প্রতীক। পাড় জুড়ে ছোট ছোট করে সারি দিয়ে তৃণমূলের জোড়া ফুল। মেঝেটা তিরঙ্গা। এই তৃণমূল শাড়ির চাহিদা এখন তুঙ্গে। সবচেয়ে বেশি অর্ডার আসছে তৃণমূলের থেকেই, এখানকার ব্যবসায়ীদের অকপট স্বীকারোক্তি। পিছনেই রয়েছে বিজেপি।


2019 Indian General Election
প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া মুখোশ, ছবি – আইএএনএস

বিজেপি শাড়িও চুটিয়ে বিকোচ্ছে। গেরুয়া শাড়ির আঁচলে বিশাল এক পদ্মের ছবি। বিজেপি প্রতীক। তারও ভাল চাহিদা। কংগ্রেস বা সিপিএম শাড়িও আছে। তবে চাহিদা এদের ধারেকাছেও নয়। এমনই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

শাড়ি আসছে সুরাট বা আমেদাবাদ থেকে। দাম পড়ছে প্রতি শাড়ি পিছু ১৬০ টাকা। পলিয়েস্টার ও সুতি মেশানো ফেব্রিক দিয়ে তৈরি বলেই দামটা এমন রাখা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া অর্ডার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার। ফলে দামটা পাইকারি রেটে হচ্ছে।


2019 Indian General Election
দলীয় নেতা-নেত্রীদের ছবি দেওয়া টিশার্ট, ছবি – আইএএনএস

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এঁদের মুখোশ বা কাট আউটের ব্যবসাও শহরে জমজমাট। বিক্রেতারা বলছেন মুখোশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাহিদা নরেন্দ্র মোদীর। হুহু করে বিকোচ্ছে এই মুখোশ। তার পিছনে রাহুল বা সনিয়া।

শুধু শাড়ি বা মুখোশ বলেই নয়। এবার ভোটের বাজারে দলের প্রতীক দেওয়া টিশার্টের চাহিদাও তুঙ্গে। চাহিদা মত যোগান দিতে হিমসিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। রয়েছে জ্যাকেটের চাহিদাও। তবে গরমের দিনে জ্যাকেট একটু কমই বিকোচ্ছে। এছাড়া দলীয় প্রতীক ছাপা টুপি বা ফ্ল্যাট তো রয়েছেই।

2019 Indian General Election
নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করার জন্য হাজির হাজারো সামগ্রির, ছবি – আইএএনএস

রয়েছে দলীয় প্রতীক দেওয়া ছাতাও। ফলে ভোটের বাজারে মরসুমি বাজার এখন জমজমাট। ভোটে কী হবে তা কারও জানা নেই, তবে ভোটকে সামনে রেখে কিছু বিক্রেতার যে এই চৈত্রেও পৌষ মাস তা বলাই বাহুল্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button