শেষ হল রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচন। প্রথম বা দ্বিতীয় দফার মত সকাল থেকে এখান ওখান থেকে অশান্তির খবর আসেনি এদিন। বরং সকালে বেশ শান্তিতেই এগোচ্ছিল ভোটগ্রহণ। রাজ্যের ৫ কেন্দ্র বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চড়তে থাকে ভোটের উত্তাপ। যার সবচেয়ে ভয়ংকর বহিঃপ্রকাশ ঘটল দুপুরে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বালিগ্রামে ১৮৮ নম্বর বুথের অদূরে।
এখানে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মৃত্যু হয় টিয়ারুল শেখ নামে এক ব্যক্তির। টিয়ারুলের ছেলে প্রথম ভোট দিচ্ছেন। তাই তাঁকে নিয়ে বাবা এসেছিলেন ভোট দিতে। এমনই দাবি টিয়ারুলের ছেলের। সেসময়ে সংঘর্ষের মাঝে টিয়ারুলের পেটে হাঁসুয়ার কোপ পড়ে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাণহানির মত ভয়ংকর ঘটনা না ঘটলেও এদিন ৫টি লোকসভা কেন্দ্রেই ছোটখাটো শান্তির ঘটনা ঘটেছে। গাজোলে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ডোমকলে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে এখানে অনেকগুলি তাজা বোমাও উদ্ধার করে। রতুয়ায় ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
এছাড়া কয়েক জায়গা থেকে ভোটারদের মারধরের খবরও এসেছে। ভোটারদের ভয় দেখানোর মত ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে ভোট চলছিল বাকি জায়গায় শান্তিতেই। কিন্তু একটা প্রাণহানির ঘটনা তৃতীয় দফাকে রক্তাক্ত করে দিল।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণকে ঘিরে টুকটাক অশান্তির খবর মিলেছে। তবে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গেই। ভোটের বলি হয়েছেন ১ জন। বাকি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতি, ইভিএম ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। তবে মোটের ওপর দেশ জুড়ে ভোট গ্রহণ হয়েছে শান্তিতেই।