কোথাও আক্রান্ত পোলিং এজেন্ট, কোথাও আক্রান্ত দলীয় কর্মী, কোথাও পুড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি, কোথাও আবার ভোট দিতে যাওয়াকে সামনে রেখে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা। সব মিলিয়ে রাজ্যে হিংসা অব্যাহত। আসানসোল, বীরভূম থেকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। আবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রেও অশান্তির খবর মিলেছে। এখানে ভোট ১২ মে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে এক বিজেপি কর্মী দুষ্কৃতিদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সুকুমার রুইদাস নামে ওই যুবককে গত মঙ্গলবার রাতে বাইকে করে আসা দুষ্কৃতিরা আক্রমণ করে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, রুইদাস কোনও দুষ্কৃতিকে চিনতে পারেননি।
বীরভূমের ইলামবাজারেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এখানে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট খিলাফত আলির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল কর্মীদের দিকে। পুড়ে যায় গোটা বাড়ি। এর কিছু পরে আবার তৃণমূলের এক কর্মীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা। আগুন পাল্টা আগুনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
আসানসোলে গত সোমবার ভোটের দিন যথেষ্ট উত্তাপ ছিল। সেই উত্তাপ এখনও বজায় রয়েছে। আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইটে এক আহত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছেন। বাবুলের দাবি, রামলাল কিসকু নামে ওই ব্যক্তি বিজেপিকর্মী। তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন তৃণমূলকর্মীরা। তিনি খাইরাবাদ গ্রামে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
বাবুল বলেন, রামলালের হাত এমনভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে যে তা ঠিক হওয়া মুশকিল। তাঁর মাথায় ৫টি সেলাইও পড়েছে। এই অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন কিসকু।
ব্যারাকপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাটপাড়া তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেকগুলি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এখানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংয়ের প্রভাব যথেষ্ট। এখানে যে হিংসা হতে পারে তা আগে থেকেই অনুমান করছিলেন অনেকে। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ভোট আগামী ৬ মে।