পঞ্চম দফায় রাজ্যে ৭টি আসনে ভোট। তারমধ্যে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে যে অশান্তি হতে পারে তা প্রশাসন তো বটেই এমনকি আমজনতাও আন্দাজ করছিলেন। হলও তাই। সোমবার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর ব্যারাকপুরের মোহনপুরে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।
সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো অর্জুন সিং সেখানে পৌঁছনোমাত্র তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। পুরো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয়বাহিনী ও পুলিশ। হাতাহাতির মধ্যে একসময় দেখা যায় অর্জুন সিংয়ের ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরছে।
ওই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে পুলিশেরও ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। রক্তাক্ত অর্জুন সিং দাবি করেন পুলিশ ও কেন্দ্রীয়বাহিনীর সামনেই তাঁকে মারধর করেন তৃণমূলকর্মীরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন ব্যারাকপুরের মোহনপুর বলেই নয়, নৈহাটির একাধিক জায়গায় অর্জুন সিংকে গো ব্যাক স্লোগান, বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে। নৈহাটিতেই অর্জুন সিংকে গাড়ি থেকে নেমে ছুটতে দেখা যায়। অর্জুনের দাবি বহিরাগতদের ধরতে ছোটেন তিনি। নৈহাটিতে এদিন কার্যত অর্জুন সিংকে বেশিক্ষণ থাকতেই দেননি তৃণমূলকর্মীরা। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। গো ব্যাক স্লোগান দেন।
একটি বুথে অর্জুন সিংকে ঢুকতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী একজন প্রার্থী একটি বুথে ঢুকে দেখতেই পারেন সেখানকার পরিস্থিতি। পরে অবশ্য বুথে ঢোকেন তিনি। ওই বুথে অভিযোগ ছিল সেখানে বিজেপি পোলিং এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না তৃণমূল। অর্জুন সিং তাঁর এজেন্টকে সেখানে বসিয়ে আসেন। এভাবে সকাল থেকেই ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে টুকটাক অশান্তির খবর এসেছে। তবে ভোটও পড়েছে। কোনও অশান্তিই এদিন ভোটারদের ভোট বিমুখ করতে পারেনি।