ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের ৮ কেন্দ্রে রবিবার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয় সকালে সময় মেনেই। কিন্তু ভোট শুরুর পর থেকেই একের পর এক অশান্তির খবর আসতে থাকে। সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর এসেছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে। এরপরই রয়েছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র। যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের লড়াই তৃণমূলের মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে।
মেদিনীপুর এদিন সকাল থেকেই তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দাঁতনে সংঘর্ষের সময় বিজেপি কর্মীদের ২ জন আহত হন। অন্যদিকে মেদিনীপুরে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে তৃণমূলের ৪ জন আহত হন। তাঁদের প্রত্যেককেই ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। ৪ জনই হাসপাতালে ভর্তি। এঁদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এভাবে সকাল থেকেই কখনও বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। কখনও তৃণমূল কর্মী। কিন্তু অশান্তি অব্যাহত থেকেছে।
মেদিনীপুরে এদিন একটি বুথের কাছে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে উত্তেজিতভাবে কয়েকজন যুবককে তেড়ে যেতে দেখা যায়। যদিও তাঁকে সুরক্ষা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে দিলীপ ঘোষ বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন। মেদিনীপুর কেন্দ্রেও কিন্তু সকাল থেকেই অশান্তির খণ্ডচিত্র ধরা পড়েছে।
এদিন সকালে ভোট শুরুর পর অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তমলুকেও। তমলুকের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এবার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন। সেই হলদিয়ার সুতাহাটায় একটি বুথে সকালেই বোমাবাজি শুরু হয়। বুথে ভাঙচুর হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। চরমে ওঠে উত্তেজনা।
রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে রমেন সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।