১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে তিনি শুধু ভোটই দেননি, নির্বাচনের কাজেও নিযুক্ত ছিলেন। তারপর বহু বছর কেটে গেছে। অনেক নির্বাচন এসেছে, গেছে। অনেক সরকার বদলেছে। কিন্তু প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক শ্যাম সরণ নেগি কখনও একটাও ভোটে ভোটদানের সুযোগ ছাড়েননি। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন দেশের একজন নাগরিক হিসাবে। রবিবারও তিনি ভোট দিলেন। হিমাচল প্রদেশের সব লোকসভা আসনেই এদিন ভোটগ্রহণ হয়। সেখানেই ১০২ বছর বয়সী শ্যাম সরণ নেগি ভোটদান করেন। খুব স্বাভাবিকভাবে শতবর্ষ পার করা এই বৃদ্ধকে ঘিরে উৎসাহের অন্ত ছিলনা। কিন্নর জেলায় নিজের বুথে গিয়ে ভোট দেন তিনি। এসেছিলেন সুসজ্জিত হয়েই। মাথায় ছিল চোখ আটকে যাওয়ার মত সুন্দর টুপি।
শ্যাম সরণ নেগি প্রথম ভোট দিয়েছিলেন চিনি লোকসভা কেন্দ্রে। তখন কিন্নর নাম হয়নি এলাকার। পরে চিনি বদলে ওই এলাকার নাম হয় কিন্নর। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই জীবনটা কাটিয়েছেন তিনি। এখনও ১০২ বছরে তিনি যথেষ্ট সক্ষম। নিজেই এদিন ভোটদানের পর সাংবাদিকদের জানান কখনও ভোটদান বাদ যায়নি তাঁর। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তখন বরফাবৃত এলাকাগুলিতে আগে ভোট হত। এখনও পর্যন্ত লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে ৩১টি নির্বাচনে ভোট দিলেন তিনি।
২০০৭ সালে এই বৃদ্ধকে ভোটদান করতে দেখেন এক নির্বাচনী আধিকারিক। তারপর থেকে তিনি ওই বৃদ্ধের খবর রাখতেন। তিনি ভোট দিচ্ছেন কিনা জানতেন। এদিন ১০২ বছরের শ্যাম সরণ যে ভোট দিতে আসছেন সে খবর তিনিই জানান সকলকে। তারপর সংবাদমাধ্যম আর শতবর্ষের বৃদ্ধের ছবি ও খবর করতে দেরি করেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা