তাঁর ধারণা হয়ত ইভিএম সরানো হয়েছে বা বদল করা হয়েছে। অথচ ইভিএম যে স্ট্রং রুম থেকে সরানো হচ্ছে সে সম্বন্ধে কোনও প্রার্থীকে জানানো হয়নি। তাই তিনি এবং তাঁর সমর্থকেরা স্ট্রং রুমের সামনেই ধর্নায় বসে থাকবেন। কারণ তাঁর ধারণা গণনার আগে ইভিএম নিয়ে কারচুপি হতে পারে। এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বিএসপি প্রার্থী আফজল আনসারি।
সোমবার রাতে গাজিপুরে একটি স্ট্রং রুমের সামনে এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে তাঁকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ ছিল ওই স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। আনসারি দাবি করেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এসেছে।
বিহারের সারন কেন্দ্র থেকেও এমন একটি ইভিএম বদলের দাবি করেছে আরজেডি। ইভিএম স্ট্রং রুমে সুরক্ষিত রাখা ও তা গণনার আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষা বলয়ে রাখা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব। মির্জাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ললিতেশপতি ত্রিপাঠী পোল অবজার্ভারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর দাবি, স্ট্রং রুমে অতিরিক্ত ইভিএম রয়েছে। চিঠিতে তিনি পোল অবজার্ভারের কাছে দাবি করেন ওই কেন্দ্রের সব প্রার্থীর সামনে স্ট্রং রুমে থাকা অতিরিক্ত ইভিএম গণনার আগেই সরিয়ে নিতে হবে।
এভাবে একের পর এক ইভিএম কারচুপির দাবি সামনে আসছে। যদিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও সরাসরি কিছু বলেনি। তবে ২ সপ্তাহ আগেও আমেঠি কেন্দ্রের স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম সরানো হচ্ছে দাবি ওঠে। যদিও জেলা প্রশাসন জানায় যে ইভিএমগুলি ব্যবহার হয়নি সেগুলি অন্যত্র ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা