এতদিনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড, লড়াই, পরিশ্রমের শেষ। এবার ফলাফলের পালা। কারও পাল্লা হবে ভারী। কেউ বিষণ্ণতার ভারে মূষরে পড়বেন। কেউ হারবেন। কেউ জিতবেন। তবে আখেরে জয় হবে গণতন্ত্রের। জয় হবে জনাদেশের। যা এখনও মেশিনবন্দি অবস্থা থেকে এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ মুক্ত হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই গণনা শুরু এখন সময়ের অপেক্ষা। গণনাকেন্দ্রগুলি সবদিক থেকে তৈরি। নিরাপত্তার আঁটসাঁট ঘেরাটোপে হবে এই গণনা।
প্রথমে হবে ইভিএম গণনা। তারপর ভিভিপ্যাট। বিরোধীদের তরফে আগে দাবি করা হয়েছিল আগে ভিভিপ্যাট গণনা করে তারপর ইভিএম গণনা হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের আগের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দিয়েছে আগে ইভিএম গণনাই হবে। পরে হবে ভিভিপ্যাট। তাও লটারির মাধ্যমে বেছে নিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের গণনাও সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই তৈরি ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ৫৮টি গণনাকেন্দ্র। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের ভিতরে যেমন প্রতি দলের এজেন্ট রয়েছেন, তেমনই সকাল থেকে গণনাকেন্দ্রগুলির বাইরে ভিড় করে অপেক্ষায় বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকেরা। তবে গণনাকেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরেই তাঁদের থাকতে হচ্ছে। তারমধ্যে ঢোকা মানা। তৈরি আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশের আবির, আতসবাজি, ঢাক-ঢোল। তবে সেসব তাঁদের প্রার্থীর জয়ের খবর আসার পরই। হারলে সেসবই ফিরবে অব্যবহৃত হয়ে।
দেশের সব আসনেরই গণনা এদিন শুরু হচ্ছে। তবে এবার ভিভিপ্যাট থাকায় গণনা একটু বেশি সময় নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে সব আসনের ফল পরিস্কার করতে শুক্রবার হয়ে যাবে। যাইহোক, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রতিটি ইভিএম এক এক করে খুলতে শুরু করলেই পরিস্কার হবে ট্রেন্ড কোন দিকে।