রবিবার বলে কথা। ফলে সকাল থেকেই প্রার্থীরা কোনওক্রমে প্রাতরাশটা সেরেই নেমে পড়েছেন ময়দানে। রবিবারে সকলেই বাড়িতে, পাড়ায়। ফলে এই সুযোগ পুরোদস্তুর কাজে লাগান প্রয়োজন। আর সেই কথা মাথায় রেখেই রবিবারের সকালে রাজ্যজুড়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রচারে প্রার্থীরা। একটা সময় ছিল যখন দেওয়াল লিখন, লিফলেট আর প্রার্থীর পাড়ায় পাড়ায় হাত জোর করে ঘুরে ছিল প্রচার। সময় বদলেছে। বদলের সঙ্গে বদলেছে প্রচারের পন্থাও।
এখন প্রচার মানে একটা রঙিন উৎসবের মত। হৈচৈ, ঢাকঢোল একটা হৈহৈ ব্যাপার। তাঁর এলাকায় দাঁড়ানো প্রার্থী যে তাঁদের দোরগোড়ায় তা আগে থেকেই টের পেয়ে যাচ্ছেন মানুষ। কেবল প্রার্থীকে দেখতেই নয়, গোটা প্রচার সজ্জা দেখতে কাজ ছেড়েই কিছুটা সময় বারান্দা, ছাদ, বাড়ির দরজা বা ফুটের ধারে কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষ।
রবিবাসরীয় প্রচারে এদিন কেউ বার হলেন দলীয় প্রতীকের জামা পড়ে। সঙ্গে কর্মী সমর্থকদের গায়েও দলের প্রতীক দেওয়া জামা, টিশার্ট। মহিলাদের পরনে দলীয় প্রতীকের ছাপ দেওয়া শাড়ি। সেইসঙ্গে ব্যান্ডপার্টি, ঢাকি, তাসা কী নেই! কেউ ঘুরছেন হুড খোলা গাড়িতে, তো কেউ ঘুরছেন পায়ে হেঁটে। কর্মীদের হাতে রঙিন বেলুন। দলের পতাকা। অনেকে ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফুল। হচ্ছে পুষ্পবৃষ্টি। প্রার্থী করজোড়েই ভোটারদের কাছে পৌঁছচ্ছেন। স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে এলাকা। এবার আবার দলীয় পতাকা আকারে বড় হয়েছে। প্রার্থীদের গাড়িতে ঘোরা এবার অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে।
ছুটির দিন হোক বা অন্য দিন। প্রচারের জন্য সকালটাতেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন প্রার্থীরা। সকাল সকাল বার হচ্ছেন। তারপর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একেবারে দুপুর করে ফিরছেন। এখন চৈত্র মাস। রোদের তেজ প্রখর। ফলে দুপুরে তেমন প্রচার নেই। যদিও দুপুরে প্রচার কম শহরে। জেলায় জেলায় অনেক প্রার্থী দুপুরেও বার হচ্ছেন। তবে বেশি দেখা যাচ্ছে রোদ পড়লে বার হতে। বিকেলেও চলছে প্রচার। সব মিলিয়ে এবার ভোটের প্রচার রঙ ছড়াচ্ছে। ফলে পাড়ায় প্রার্থী এলে এখন প্রার্থীকে দেখতে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের মন কাড়ছে প্রচারের অভিনবত্ব।