ভোট গণনা পার করেছে ৩ ঘণ্টা। অনেক কেন্দ্রেই এগিয়ে যাওয়া, পিছিয়ে যাওয়া চলছে। তবে সার্বিক চিত্রটা কিন্তু ক্রমশ গেরুয়া রংকে গাঢ় করে তুলছে। তুলনায় ক্রমশ ফিকে হচ্ছে সবুজ সহ অন্য রং। পশ্চিমবঙ্গে যে তৃণমূল ৪২-এ ৪২ বলে গেছে তাদের সেই দাবি কিন্তু নস্যাৎ হওয়ার পথে। বরং বিজেপি সভাপতি অনেক আগে থেকেই এ রাজ্য থেকে ২৩টি আসন পাওয়ার যে দাবি করে আসছিলেন, তা কিন্তু পুরোটা না মিললেও কিছুটা মিলতে পারে। এখনও যা প্রবণতা তাতে বিজেপি কিন্তু রাজ্যে তাদের আসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চলেছে।
সারা দেশের দিকে যদি তাকানো যায় সেখানে কিন্তু একা বিজেপি শাসন করছে। দক্ষিণের কেরালা ও তামিলনাড়ুতে অবশ্য বিজেপি জোটের ফল একদম ভাল নয়। কিন্তু তার বাইরে বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে যেখানে কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় সেখানে দারুণভাবে এগিয়ে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার গড়লেও সেখানে লোকসভায় অনেক এগিয়ে বিজেপি। এমনকি যে উত্তরপ্রদেশে এবার বুয়া-ভাতিজা ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল এক্সিট পোলও, সেখানেও বিজেপি একাই এগিয়ে থাকার প্রশ্নে দাপট দেখাচ্ছে। এনডিএ জোট সারা দেশে ৩০০-র বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। একা বিজেপিই সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২-এর কাছে পৌঁছে গেছে। মহারাষ্ট্রেও বিজেপি-শিবসেনা ঝড় স্পষ্ট।
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে পিছিয়ে রয়েছেন। সনিয়া গান্ধী সকালের দিকে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও মাঝে এগিয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসী কেন্দ্র থেকে ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে অনেকটাই ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন।