লোকসভা নির্বাচনে ফিল্মস্টারদের অংশ নিতে আগেও দেখা গেছে। তখনও তাঁরা অনেকেই জিতেছেন। এবারও তার অন্যথা হল না। পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালেই দেখা যাবে এবার ৪ জন চিত্রতারকা জয় পেয়েছেন। ৪ জনই জিতেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ৪ জনের মধ্যে ১ জন অভিনেতা দেব বা দীপক অধিকারী। যিনি জিতেছেন ঘাটাল কেন্দ্র থেকে। অন্য ৩ জন অভিনেত্রী। যারমধ্যে এখন টলিউড কাঁপাচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। মিমি জিতেছেন যাদবপুর থেকে। নুসরত জাহান বসিরহাট থেকে। বীরভূম থেকে জিতেছেন শতাব্দী রায়। তিনি অবশ্য এখন অভিনয় জগত থেকে দূরে। তবে এক সময়ের ডাকসাইটে অভিনেত্রী ছিলেন শতাব্দী।
সারা দেশেও কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনেতা, অভিনেত্রীরা এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সিংহভাগই তারমধ্যে মধ্যে জয় পেয়েছেন। যেমন পঞ্জাবের গুরদাসপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন সানি দেওল। তিনি বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন। মথুরা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে ফের জিতেছেন একসময়ে বলিউডের ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনী। তিনি মথুরারই সাংসদ ছিলেন। চণ্ডীগড় কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের পবন কুমার বনসলকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন অভিনেত্রী কিরণ খের। অনুপম খেরের পত্নী কিরণ বড় ব্যবধানই জিতেছেন।
দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক হংস রাজ হংস। দিল্লিরই অন্য কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। ভোজপুরী চিত্র তারকা মনোজ তিওয়ারির জয়টা অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য কারণ তিনি ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতকে। আরও এক ভোজপুরী চিত্রতারকা বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি রবি কিষাণ। গোরক্ষপুর থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতেন তিনি।
অভিনেত্রী সুমালতা অম্বরীশ কর্ণাটকের মান্ডিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া আসন থেকে বিজু জনতা দলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন সেখানকার জনপ্রিয় অভিনেতা অনুভব মোহান্তি। মহারাষ্ট্রের সিরুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এনসিপি প্রার্থী হিসাবে জেতেন অভিনেতা অমল রামসিং।
চিত্র তারকাদের হারের কিছু উদাহরণও রয়েছে এবার। মুম্বই উত্তর থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে হেরে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্মিলা মাতন্ডকর। যেমন এ রাজ্য থেকে হারতে হয়েছে অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে। অন্যদিকে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা ও তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী পুনম সিনহা ২ জনেই হেরেছেন। আগের বার বিজেপির টিকিটে জেতা শত্রুঘ্ন পাটনা সাহিব থেকেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। কিন্তু জিততে পারেননি। পুনম হারেন লখনউ কেন্দ্রে রাজনাথ সিংয়ের কাছে।
ফতেপুর সিক্রি আসন থেকে ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারতে হয়েছে কংগ্রেসের রাজ বব্বরকে। তিনি হারের পর উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দেন। উত্তরপ্রদেশের রামপুর আসনে সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খানের কাছে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী জয়া প্রদাকে। বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করা দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ হেরে গেছেন। সাধারণত ভিলেনের ভূমিকার অভিনেতা হিসাবে প্রকাশ রাজ সিনেমা জগতের অতি পরিচিত মুখ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা