জোড়া ফুল সন্দেশ হোক বা পদ্ম সন্দেশ। মিষ্টির দোকানে তাদের কোনও শত্রুতা নেই। বৈরিতা ভুলে তাদের সঙ্গে টাটকা তাজা সিপিএম বা কংগ্রেস সন্দেশ। রং, রূপ আর মনভোলানো স্বাদে কেউ কারও চেয়ে কম যায়না। ভোটের বাজারে এখন বেশ কিছু মিষ্টির দোকানে এমন দলীয় প্রতীকের মিষ্টি নতুন সংযোজন। দোকানে এসব মিষ্টি পড়ার অপেক্ষা। ট্রে-তে করে এসে সাজিয়ে রাখার অপেক্ষা। বিক্রি সামলাতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
রাধারমণ মল্লিক ও বলরাম মল্লিকের দোকানে ভোটের সময় দলীয় পতাকার রংয়ে সাজে মিষ্টি নতুন নয়। আগেও শহরের এই অন্যতম সেরা মিষ্টি প্রস্তুতকারক তাক লাগিয়ে দিয়েছে সুস্বাদু দলীয় মিষ্টি বানিয়ে। এবারও তারা ভোটের দামামা বাজতেই এই মরসুমি মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছে। ভোটের মরসুমে যার বিক্রি দারুণ বলে মেনে নিচ্ছেন দোকান মালিকরা। তবে চাহিদায় সবচেয়ে এগিয়ে তৃণমূল। সেকথা মেনে নিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ভাল বিক্রি রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএমেরও। দলের তরফ থেকে বড় বড় অর্ডার আসছে। ২৫০ গ্রামের একটি সন্দেশের দাম বলরাম মল্লিকে পরছে ২৫০ টাকা। তাই বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। সঙ্গে রয়েছে ছোট মিষ্টিও।
একইভাবে সোদপুরের সোদপুর সুইট শপ এখন দলীয় প্রতীকের মিষ্টির চাহিদা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে। ভোটের বাজারে তাদের বাজারে এখন পৌষ মাস। বড় বড় কেকের মত এখানে তৈরি হচ্ছে সন্দেশ। এসব ট্রে ভর্তি মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দামে। যার চাহিদা বিশাল বলে মেনে নিচ্ছেন দোকানিরা। প্রচুর অর্ডার আসছে। চাহিদার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে তৃণমূল সন্দেশ। তারপরই চাহিদা তুঙ্গে বিজেপি সন্দেশের। কংগ্রেস ও সিপিএম সন্দেশও বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রথম ২টোর মত নয়। একথা জানাচ্ছেন দোকান মালিকই।
সে দল যাই হোক। মিষ্টি তো মিষ্টি। আর বাঙালি মানেই মিষ্টিপ্রেমী। চিরাচরিত সন্দেশ খেতে খেতে ক্লান্ত মনটা ভোটের বাজারে তাই পছন্দের দলের মিষ্টিতে কামড় দিয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে নিচ্ছে। জানা যাচ্ছে অনেক সময় নির্ভেজাল তৃণমূল সমর্থকও বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম মিষ্টি চাখতে ছাড়ছেন না। উল্টোটাও হচ্ছে। স্বাদ ভাল হলে মিষ্টি কী ছাড়া যায়! আর এই ভোটের বাজারে উপরি কিছু মুনাফা চুটিয়ে উপভোগ করছেন বিক্রেতারাও।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)