সোনা পাওয়া প্রতিযোগীর জন্য নয়, গ্যালারি গলা ফাটাল সবার শেষে পৌঁছনো প্রতিযোগীর জন্য
সোনা যিনি পেলেন তাঁর জন্য গ্যালারিতে থাকা মানুষ কেবল সামান্য হাততালিই দিলেন। কিন্তু যিনি দৌড়ে শেষে এসে পৌঁছলেন তাঁর সমর্থনে গলা ফাটিয়ে ফেলল গোটা গ্যালারি।
বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসের শেষলগ্নে পৌঁছে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হলেন সকলে। প্রতিযোগিতা হচ্ছিল দৌড়ের। পুরুষদের ৫ হাজার মিটার দৌড়। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হন উগান্ডার প্রতিযোগী।
তিনি ১৩ মিনিট ৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। কিন্তু সোনা পাওয়া সত্ত্বেও গ্যালারিতে থাকা ঠাসা দর্শক তাঁর দিকে বিশেষ ঘুরেই তাকালেন না। গ্যালারি কেবল ১ জন প্রতিযোগীর দিকে চেয়ে রইল সারাটা সময়। তাঁর জন্য গলা ফাটাল।
যাঁর জন্য দর্শকরা গলা ফাটালেন তিনি কিন্তু শেষ করলেন সবার শেষে। শুধু শেষে নয়, সকলে পোঁছে যাওয়ার বেশ কিছুটা সময় পর তিনি এসে পৌঁছন।
কিন্তু তিনি ফিনিশিং লাইনে পৌঁছনোর পরও তাঁর জন্য দর্শকদের হাততালি, গলা ফাটানো বন্ধ হচ্ছিল না। পদক প্রাপকরা দাঁড়িয়েছিলেন একধারে কিছুটা ব্রাত্যের মত। কারণ নায়ক তখন একজনই। যিনি শেষে এসে পৌঁছেছেন।
সলোমন দ্বীপরাষ্ট্রের দৌড়বিদ রোজফেলো সিওসি শেষে এসে পৌঁছনো সত্ত্বেও তিনিই নায়ক হয়ে রইলেন এই প্রতিযোগিতার। এমনকি প্রথম যিনি হন তাঁর চেয়ে একটা গোটা ল্যাপ পিছনে ছিলেন তিনি।
সিওসির এই দুর্বলতার জন্যই গ্যালারি তাঁকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছে। দর্শকদের এই উৎসাহ দেওয়া দেখে আপ্লুত সিওসি।
সিওসি গত ৫ বছর ধরে অনুশীলন করছেন। কিন্তু তাঁর দেশে সিন্থেটিক ট্র্যাকও নেই যে সেখানে তিনি অনুশীলন করবেন। কমনওয়েলথেই ট্র্যাকের ওপর তাঁর প্রথম ছোটা।
তবে সিওসি জানিয়েছেন তিনি জানেন কতটা দুর্বল ফল করেছেন। তবে তিনি এসব ভুলে কঠোর পরিশ্রম করে আগামী বছর প্যাসিফিক গেমসে নিজেকে প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা