বিরাটকে কাঁধে তুলে ঘোরালেন রোহিত, কেঁদে ফেললেন বিরাট, হার্দিক
বিরাট কোহলিকে কাঁধে তুলে নিলেন রোহিত শর্মা। তারপর মাঠের মধ্যেই তাঁকে ঘোরাতে শুরু করলেন। মাঠে কেঁদে ভাসালেন বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ডিয়া।
রুদ্ধশ্বাস জয় বললেও কম বলা হয়। তাও আবার কার্যত ডাহা হারের দরজায় পৌঁছে যাওয়া ম্যাচে যে এভাবে ভারত ফিরে আসতে পারে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। এমনকি শেষ ৮ বলে ২৮ রান দরকার ছিল। সেখান থেকে যে ভারত জয় বার করতে পারবে তা ভাবতেও পারেননি ভারতবাসী।
যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের টি২০ বিশ্বকাপে হার প্রায় নিশ্চিত বলে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন সকলে ঠিক তখনই শুরু হয় ম্যাজিক। ৩টে ছক্কা, নো বল, ছুটে রান সব চলতে থাকে।
শেষ ওভারে ১ বলে কার্যত ১১ রান দেন পাক স্পিনার। শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রান দরকার ছিল। সেই রান তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বিরাট কোহলি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের জয় পায় ভারত। টি২০ বিশ্বকাপে এই নিয়ে ভারত ৫ বার পাকিস্তানকে হারাল। হেরেছে মাত্র ১ বার।
এদিন টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তানের ২ ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম ও রিজওয়ানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। কিন্তু তারপরই খেলা ধরে নেন শান মাসুদ ও ইফতিকার আহমেদ।
শান ৫২ ও ইফতিকার ৫১ রান করে পাকিস্তানকে একটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন। তারপর অবশ্য পাকিস্তানের দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। ১৫৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় পাক ইনিংস।
ভারত ব্যাট করতে নেমে পরপর উইকেট হারাতে থাকে। দলের ৩১ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রোহিত, রাহুল, সূর্যকুমার ও অক্ষর প্যাটেল। ৪ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়া ম্যাচের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পাণ্ডিয়া।
কার্যত বিরাট আর হার্দিক ম্যাচ ধরে রাখলেও ম্যাচের ১৮ বল বাকি থাকতেও প্রায় সকলেই জানতেন ভারত হারছে। এখান থেকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।
এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে জয়ের পর ম্যাচের নায়ক বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করতে থাকেন সতীর্থরা। এই সময় বিরাটকে কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এমন দৃশ্য যে মাঠে দেখা যাবে তা হয়তো দর্শকরাও ভাবেননি। তারপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের আনন্দে কেঁদে ফেলেন হার্দিক।
এদিন মাঠে যে উচ্ছ্বাস আনন্দ ভারতীয় শিবিরে নজর কেড়েছে তা কেবল জয়ের আনন্দ ছিলনা। ছিল প্রায় হারা ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর আনন্দ।