গাধার পিঠে চেপে দরজায় কড়া, বেরিয়ে এল গোটা এলাকা
গাধার পিঠে সেজেগুজে উনি কে? যাঁরা রাস্তায় ছিলেন তাঁরা তো অবাকই, গাধার পিঠে থাকা ব্যক্তির ডাকে বাড়ি ছেড়েও বেরিয়ে এলেন বাকিরা।
একটি গাধাকে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তার ওপর যিনি বসে আছেন তিনি আপাদমস্তক সাদা পোশাকে মোড়া। গলায় ঝুলছে রঙিন ফুলের মালা। চুল রং করা। তিনি গাধার পিঠে থাকলেও তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিরা হেঁটেই চলেছেন তাঁর সঙ্গে।
তিনি এক এক করে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন। দরজায় কড়া নাড়ছেন। দরজা খুলে বেরিয়ে আসা গৃহস্থ তাঁকে গাধার পিঠে সওয়ার দেখে প্রাথমিকভাবে হতবাক হয়ে যাচ্ছেন। তিনি অবশ্য হাতজোড় করে প্রচারে ব্যস্ত।
কেন তাঁর জয় এলাকার মানুষের জন্য দরকার তা বোঝানোর চেষ্টা করছেন সকলকে। বোঝাচ্ছেন এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যা তিনি ঠিক করে দেবেন। এলাকার উন্নতি করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় গড়বেন। এছাড়া এলাকায় একটি চিনির কলও তৈরি করে দেবেন।
যেহেতু তিনি নির্দলীয় তাই এমন কিছু তিনি করতে চেয়েছেন যাতে মানুষের তাঁর দিকে নজর পড়ে। তাঁকে নিয়ে চর্চা হয়। তাঁর কথা মানুষ শোনেন। তাই গাধাকে বেছে নেওয়া।
হেঁটে ঘুরলে কেউ পাত্তা নাও দিতে পারেন। কিন্তু গাধার পিঠে সেজে ঘুরলে সকলে বেরিয়ে আসবেন দেখতে। আর সেটাই হচ্ছে। যদিও সত্যেন্দ্র বৈঠা নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, পেট্রোল, ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম। ওই টাকা খরচ করার সামর্থ্য তাঁর নেই। তাই তিনি গাধার পিঠে প্রচারকেই বেছে নিয়েছেন।
বিহারের গোপালগঞ্জে গাধার পিঠে চড়ে সত্যেন্দ্র বৈঠার প্রচার কিন্তু ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে। জয় পরাজয় যাই হোক, সত্যেন্দ্র বৈঠার কিন্তু রাতারাতি গোটা গোপালগঞ্জ জুড়ে চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসতে পেরেছেন তাঁর অভিনবত্বের কৌশলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা