বিশ সাল বাদ সেই গায়ত্রী মন্ত্রটা এখনও মনে পড়ে আমির খানের
‘লগান’ সিনেমাটি ভারতীয় সিনেমার একটা মাইলস্টোনে পরিণত হয়েছে। ২০ বছর পার করল সেই বিখ্যাত সিনেমা। সিনেমার স্মৃতি আজও উজ্জ্বল আমির খানের মনে।
লগান সিনেমার শ্যুটিং স্পটে পৌঁছনোর জন্য ভোর ৪টেয় বাসে চড়তে হত। ভোর ৫টায় বাস স্পটে পৌঁছে দিত। ভোরে যখন বাসে চড়া হত তখন রাতের অন্ধকার কাটত না।
বাসে চড়ার পর তাঁদের এক অভিনেতা বাসের স্পিকারে গায়ত্রী মন্ত্র চালিয়ে দিতেন। তা শুনতে শুনতে স্পটে পৌঁছে যাওয়ার মধ্যে অনেকের চোখও লেগে যেত।
এটাই ছিল টানা ৬ মাসের জন্য তাঁদের প্রাত্যহিক রুটিন। গায়ত্রী মন্ত্রটা সকালে তাঁদের খুব কাজে আসত। ২০ বছর পর লগান সিনেমার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এভাবেই পুরনো দিনে ফিরে গেলেন আমির খান।
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস লিখতে গেলে একবিংশ শতাব্দীর শুরুর একটি সিনেমার কথা লিখতেই হবে। তা হল লগান। লগান বা সে সময়ের কৃষি কর মকুব করাতে একদল গ্রামবাসীর ক্রিকেটের মোড়কে জীবনপণ লড়াইয়ের টানটান কাহিনি দীর্ঘ সময়ের সিনেমাকে কখনও ঝিমিয়ে পড়তে দেয়নি।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিনেমার পর্দায় সে ছিল এক কল্পিত স্বাধীনতা যুদ্ধও। সেই সিনেমা ২০ বছর পূর্ণ করল। বিশ সাল বাদ সেই সিনেমার স্মৃতি এখনও তাজা সিনেমার নায়ক ভুবন তথা আমির খানের মনে।
তবে আমির জানিয়েছেন এখন যদি তাঁকে ফের একটা লগান বানাতে বলা হয় তাহলে তিনি তা বানাতে পারবেননা। কারণ সে সাহসই তাঁর নেই!
লগান সিনেমাটি ছিল ভারতীয় সিনেমার মধ্যে তৃতীয়, যেটি অস্কারের মঞ্চে পৌঁছতে পেরেছিল। বিদেশি সিনেমার ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পায় লগান।
আমির খান সিনেমার নায়ক হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন সিনেমার প্রযোজকও। সেটাই ছিল তাঁর প্রযোজক হিসাবে হাতেখড়ি। আর সিনেমার পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়েকর এই সিনেমার হাত ধরে অস্কারের মঞ্চে পেয়েছিলেন ভোটদানের অধিকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা