মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা হয় দুজনের মধ্যে। পরে ভারত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাচিন্তার তারিফ করেন বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনেও হাজির হন তিনি। সেখানেই নানা প্রশ্নের মাঝে অভিজিৎ মজার ছলেই বলেন, সাংবাদিকরা তাঁকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছেন। যাতে তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলেন। প্রসঙ্গত নোটবন্দি থেকে বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা, মোদী সরকারের নানা পদক্ষেপের খোলাখুলি সমালোচনা করেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কিন্তু অনেক প্রশ্নই এড়িয়ে যান অভিজিতবাবু।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনায় সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্র। এদিন কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত-এর প্রশংসা করে অভিজিৎবাবু জানান, এমন একটি প্রকল্পের ভারতের আশু প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি এটাও বলেন, অনেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ এখানে খরচ করেন সেইমত চিকিৎসা পান না। ভারতে মহিলাদের প্রতি যত্নের প্রয়োজন নিয়েও এদিন মুখ খোলেন তিনি। মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও নজর দেওয়া দরকার বলে জানান। শিশুদের স্তন্যপানের প্রয়োজনীয়তা ও সেক্ষেত্রে ভারতে অনেক শিশু এই সুযোগ পায়না বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীতি আয়োগ, আইসিআই মার্ক সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান অভিজিতবাবু।
ভারতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরকারে ৫১ শতাংশ ইকুইটি কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর অভিজিতবাবু। তিনি জানান, ব্যাঙ্কের ডিফল্ট মামলাগুলিতে অর্থাৎ ঋণ সময়ে না মেটানোর মামলায় সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন-এর করা তদন্ত ব্যাঙ্কিং সিস্টেমকেই স্তব্ধ করে দিচ্ছে। ব্যাঙ্কাররাই আর্থিক লেনদেনে ভয় পাচ্ছেন। সরকার যদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাদের ইকুইটি ৫১ শতাংশের কম করে দেয় তবে ব্যাঙ্কগুলি সিভিসি নজরদারি বাইরে চলে আসবে। যা আখেরে ব্যাঙ্কারদের আতঙ্কমুক্ত করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা