World

প্রথা ভেঙে ধুতি পাঞ্জাবীতে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল গ্রহণ, শাড়িতে নিলেন এস্থার

নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময় পুরস্কার গ্রাহকের জন্য সে অর্থে কোনও ড্রেস কোড নেই। তবে সাধারণভাবে নোবেল যাঁরা গ্রহণ করেন তাঁরা টেইল কোট পরেই গ্রহণ করেন। কিন্তু অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন আদ্যপ্রান্ত বাঙালি। সেই বাংলা তথা ভারতের জাত্যভিমান তাঁর পোশাকেও ফুটে উঠল। এমনকি ফরাসী নাগরিক তাঁর স্ত্রী এস্থারও পরে এলেন শাড়ি। মাথায় লাল টিপ। বাঙালি কর্তার বাঙালি অর্ধাঙ্গিনী হয়ে একদম বাঙালি তথা ভারতীয় পোশাক শাড়িতে পুরস্কার গ্রহণ করলেন তিনি।

মঙ্গলবার সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার প্রদানের চিরাচরিত ঝলমলে অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে গর্বে যে কোনও বাঙালির বুক ফুলে উঠেছে। সে তিনি বিশ্বের যে প্রান্তেই বসে থাকুন না কেন। পুরস্কার গ্রহণ করা তাঁর স্ত্রী এস্থার দুফলোরও পরনে ছিল সবুজ শাড়ি। কপালে লাল ছোট টিপ। স্টকহোমে এখন তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের নিচে। ফলে ঠান্ডা বলে বোঝানোর নয়। সেখানে ধুতি, পাঞ্জাবী পরে তাই একটি গলাবন্ধ কোটও পরেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট জন। অভিজিৎ ও এস্থার অর্থনীতিতে নোবেল পান। এছাড়াও প্রত্যেক নোবেল প্রাপক যেমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেমনই ছিলেন সুইডেনের গণ্যমান্য মানুষজন। রাজার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করাই রীতি। রাজার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রানি সহ রাজ পরিবারের অন্য সদস্যরা। সেই ১৯৯৮ সালে শেষ কোনও বাঙালির হাতে নোবেল উঠেছিল। তিনি ছিলেন অমর্ত্য সেন। আবার এক বাঙালি বাংলার আপামর মানুষের মুখ উজ্জ্বল করলেন। তিনি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button