
সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে উভয় সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শ্যাম না কূল কোনটা মানসবাবু বেছে নেন সে সিদ্ধান্তের বলটা তাঁর কোর্টেই ঠেলে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর দলের প্রদেশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গিয়েই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেন মানসবাবু। বিরোধী নেতা আবদুল মান্নান ও অধীর চৌধুরী তাঁকে পদ ছাড়তে বললেও তাতে কান দেননি মানস। বরং এই দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখও খোলেন তিনি। অন্যদিকে মানসবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মান্নান, অধীরও। প্রকাশ্যেই শুরু হয় একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগা। এই অবস্থায় এমনও শোনা যাচ্ছিল যে মানস ভুঁইয়াকে দল থেকে তাড়াতে দিল্লি পর্যন্তও দরবার করেন মান্নান, অধীর। এই চাপানউতোরের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন সবংয়ে তৃণমূল নেতা জয়দেব রাণার খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালত মানস ভুঁইয়া সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। মানসবাবু হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানান। সেই আবেদন গত সোমবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তারপরই মঙ্গলবার অধীরবাবু জানিয়ে দেন মানস ভুঁইয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা কংগ্রেস মেনে নেবে না। রাজ্য জুড়ে মানসবাবুর সমর্থনে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আগামী শুক্রবার এ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধীরবাবু। বিপদের সময় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এভাবে পাশে দাঁড়ানোর পরও মানসবাবু আগের অবস্থানেই অনড় থাকেন, নাকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন আপাতত সেদিকেই চেয়ে অধীরবাবুরা। চেয়ে রাজনৈতিক মহলও।