লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা হিসাবে বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর নাম লোকসভা সেক্রেটারিয়েটের কাছে পাঠাল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের ২ জন সাংসদ রয়েছেন। তারমধ্যে একজন সাংসদ অধীরবাবু। কংগ্রেসের ঝুলিতে রয়েছেন ৫২ জন সাংসদ। সেখানে অধীর চৌধুরীকে লোকসভার নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া অবশ্যই বঙ্গ কংগ্রেসের জন্য বড় প্রাপ্তি। অধীর চৌধুরী নিজেও সংবাদ সংস্থাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন তাঁকে যে দায়িত্ব দল দিয়েছে তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করবেন তিনি।
অধীরবাবু আরও জানিয়েছেন, সংখ্যা যাই হোক তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। একসময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। বহরমপুর আসনে তিনিই এখনও অলিখিত সম্রাট। দীর্ঘদিনের এই কংগ্রেস নেতা লোকসভাতেও আগে কংগ্রেস সাংসদ হিসাবে অনেক বিষয় উত্থাপন করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরপুর। সেই অভিজ্ঞতার ভারে তিনি তাঁর সাংসদদের নিয়ে কীভাবে বিজেপির ৩০০ পার করা সাংসদের এবং এনডিএ-র ৩৫৩ জন সাংসদের মোকাবিলা করে নিজেদের বক্তব্যকে তুলে ধরতে পারেন সেদিকে চেয়ে অনেকে।
এবার সংসদে বিরোধী শক্তি কমেছে। ফলে কংগ্রেসের জন্য লোকসভায় বিরোধী কণ্ঠ হিসাবে নিজেদের তুলে ধরা বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে অধীরবাবুর নাম লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে এটাই খবর যে সনিয়া গান্ধী নিজে অধীরবাবুর নাম স্থির করেছেন। তবে কংগ্রেস এবারও লিডার অফ দ্যা অপোজিশন বা বিরোধী দলনেতা পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দরকার ছিল ৫৪টি আসন। কিন্তু এবার লোকসভায় কংগ্রেসের দখলে এসেছে ৫২টি আসন। ফলে দলের নেতা দিয়েই লোকসভায় তাদের ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা