Entertainment

অকালে চলে গেলেন অনুরাধা পাড়োয়ালের ছেলে আদিত্য

বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। এই বয়সেই চলে গেলেন বিখ্যাত গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়ালের ছেলে আদিত্য পাড়োয়াল।

মুম্বই : মা বিখ্যাত গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়াল। এটা অবশ্যই তাঁর বড় পরিচয় ছিল। কিন্তু আদিত্য পাড়োয়াল নিজেও ক্রমে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করছিলেন। পরিবারে সঙ্গীতের চর্চা যে তাঁর জীবনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে তিনি নিজের প্রতিভার ছাপ রাখতে শুরু করেছিলেন গানের জগতে। সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন একজন সঙ্গীত অ্যারেঞ্জার। ছিলেন প্রযোজকও। অনেক প্রথিতযশা সঙ্গীত পরিচালক তাঁর সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছিলেন। ক্রমে তিনি নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করছিলেন।

অনুরাধা পাড়োয়ালের সেই প্রতিভাবান ছেলে আদিত্য পাড়োয়াল কিন্তু নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরার আগেই অকালে ঝরে গেলেন। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসাও চলছিল। কিডনির সমস্যা থাকলেও কাজ থেমে থাকেনি। কিন্তু সেই কিডনির সমস্যাই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। তাও মাত্র ৩৫ বছরে। যা কখনও মারা যাওয়ার বয়স নয়। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।


Aditya Paudwal
আদিত্য পাড়োয়াল, ছবি – আইএএনএস

আদিত্য পাড়োয়ালের মৃত্যুতে বহু সঙ্গীত জগতের প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছেন। সকলেই তাঁর অল্প বয়সে প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না। বিখ্যাত গায়ক শঙ্কর মহাদেবন সোশ্যাল সাইটে লেখেন ২ দিন আগেও তিনি আদিত্যর সঙ্গে কাজ করেছেন। গান গেয়েছেন আদিত্যর ব্যবস্থাপনায়। সেই আদিত্য আর নেই এটা তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। আদিত্য পাড়োয়ালকে এক অসাধারণ সঙ্গীতজ্ঞ বলে ব্যাখ্যা করেছেন শঙ্কর মহাদেবন।

আর এক বিশিষ্ট গায়ক কৌশল এস ইনামদার লিখেছেন আদিত্য ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান ছেলে। তাঁদের একসঙ্গে কাজ করার কথা হচ্ছিল। কিন্তু তা অসমাপ্তই রয়ে গেল। আরও অনেকের সঙ্গেই আদিত্যর সম্প্রতি গানের বিষয়ে নানা পরিকল্পনা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই এদিন হতবাক। মেনে নিতে পারছেন না এই অকাল প্রয়াণ। আদিত্য পাড়োয়ালের মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর বন্ধুরাও। আদিত্য পাড়োয়ালের অকাল মৃত্যুতে সঙ্গীত জগত হারাল এক প্রতিভাবান সঙ্গীতজ্ঞকে। আর এক প্রখ্যাত গায়িকা হারালেন তাঁর সন্তানকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button