কি হতে চেয়েছিলেন আর কি হলেন, হিটলার নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর ইচ্ছার কথা
হিটলার নামটা বিশ্ব ইতিহাস চর্চার তালিকা থেকে কখনও বাদ যাবেনা। বিশ্ব তোলপাড় করে দেওয়া এই মানুষটি কিন্তু যা হয়েছিলেন তা তিনি হতে চাননি।
অ্যাডলফ হিটলার একটি আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন। সেখানে তিনি নিজের জীবনের নানা কথা তুলে ধরেন। যা পড়লে জানা যায় যে একসময় বিশ্বত্রাসে পরিণত হওয়া মানুষটি যা হয়েছিলেন তা তিনি আদৌ হতে চাননি। হয়তো সেদিন সব ঠিকঠাক এগোলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধটাই হতনা।
হিটলার জার্মানির ইতিহাসটা নতুন করে লিখে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯০৭ সালেই তাঁর জীবনটা অন্য পথে প্রবাহিত হতে পারত। কারণ ১৯০৭ সালে তিনি ভিয়েনার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে একটি পরীক্ষায় বসেন।
হিটলার একজন চিত্রকর হতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন চিত্রকর হওয়ার জন্য প্রথাগত শিক্ষা নিতে ভিয়েনার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ভর্তি হতে। যেখানে যোগ দেওয়া সহজ কাজ ছিলনা। কারণ সেখানে ঢুকতে গেলে তখন একটি পরীক্ষা দিতে হত।
কিন্তু ১৯০৭ সালে সেই পরীক্ষায় বসেও সফল হতে পারেননি হিটলার। তবে হাল ছাড়েননি। একজন আর্টিস্ট হওয়ার ইচ্ছা এতটাই তাঁর মনে প্রবল ছিল যে তিনি ফের ১৯০৮ সালে ভিয়েনার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ভর্তির পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু সেবারও তিনি ব্যর্থ হন। নাম ওঠেনি হিটলারের।
তারপরেও হয়তো হিটলার তাঁর পেশাদার চিত্রকর হয়ে ওঠার ইচ্ছাকে বাঁচিয়ে রাখতেন। কিন্তু তখন তাঁর বাবা মায়ের মৃত্যু তাঁকে আর চিত্রকর হয়ে উঠতে দেয়নি।
হিটলার যোগ দেন জার্মানির সেনাবাহিনীতে। তার পরের হিটলারকে বিশ্ববাসী চেনেন। কিন্তু তিনি যা হতে চেয়েছিলেন তা তিনি হতে পারেননি, একথা হিটলারই নিজের আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন।