আফগান প্রেসিডেন্টও এবার চলে গেলেন কোয়ারেন্টিনে
আফগানিস্তানের বহু মানুষ ইরানে কর্মরত ছিলেন। সংখ্যাটা প্রায় দেড় লক্ষ। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন গত মার্চে। আর ইরানে করোনা হুহু করে ছড়িয়েছিল।
বিশ্ব জুড়ে শুধু সাধারণ মানুষ নন, তাবড় দেশ নেতাকেও করোনা পজিটিভ হিসাবে দেখা গেছে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ বোধহয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া ব্রিটেনের রাজ পরিবারেও করোনা থাবা বসিয়েছে। স্পেনের রাজকন্যার মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশের নেতা মন্ত্রীদের করোনা সংক্রমিতের কাছাকাছি আসার দরুন কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আর একটি নাম। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবার কোয়ারেন্টিনে গেলেন।
আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের ২০ জন কর্মীর করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এরপর আর প্রেসিডেন্ট ঝুঁকি নেননি। নিজেকে আলাদা করে কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছেন। যদিও অন্য একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে ২০ নয়, সংখ্যাটা নাকি ৪০ জন। যদিও আফগানিস্তান সরকার বা আফগান প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে কোনও কিছুই বলা হয়নি।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে আফগানিস্তানে এখন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। যদিও আফগানিস্তানের বহু মানুষ ইরানে কর্মরত ছিলেন। সংখ্যাটা প্রায় দেড় লক্ষ। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন গত মার্চে। আর ইরানে করোনা হুহু করে ছড়িয়েছিল। বিশেষত মার্চে সেখানকার পরিস্থিতি শোচনীয় ছিল।
কিছু মানুষ পাকিস্তান থেকেও এখন দেশে ফিরে এসেছেন। এঁদের কথা মাথায় রেখে আফগানিস্তানে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা