বাবা-মাকে হত্যার বদলা নিল মেয়ে, মারল ২ জঙ্গিকে
বাবা-মাকে তার সামনেই গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এটা দেখার পর হাতে বন্দুক তুলে নিতে দ্বিধা করেনি মেয়ে।
কাবুল : গ্রামে ঢুকে প্রথমেই জঙ্গিরা খোঁজ করে গ্রাম প্রধানের। সরকারের পাশে থাকার শাস্তি তাঁকে পেতে হবে বলে হুংকারও দেয়। খোঁজ পড়ে এক পুলিশ আধিকারিকেরও। ওই পুলিশ আধিকারিককে ধারেকাছে না পেলেও গ্রাম প্রধানের বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিরা তাঁকে নাগালে পেয়ে যায়। তারপর তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনে বাড়ি থেকে। স্বামীকে বাঁচাতে জঙ্গিদের কাছে কাকুতিমিনতি করতে থাকেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী।
জঙ্গিরা অবশ্য তাতে কান দেয়নি। বরং গ্রামের মাঝে ফেলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় স্বামী-স্ত্রীকে। এই পুরো ঘটনাটা বাড়ি থেকে দেখে এই ব্যক্তির মেয়ে। বাবা-মাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যার দৃশ্য দেখার পর আর স্থির থাকতে পারেনি সে। বাড়িতেই রাখা একটি একে-৪৭ রাইফেল তুলে নেয় হাতে। তারপর বেরিয়ে এসে যে ২ জঙ্গি তার বাবা-মাকে গুলি করে তাদের ২ জনকে গুলি করে হত্যা করে মেয়ে। অন্য তালিবান জঙ্গিদের তাক করেও গুলি ছুঁড়তে থাকে সে।
গুলিতে আহত হয়ে পালাতে থাকে জঙ্গিরা। ২ জঙ্গির দেহ ফেলেই সেখান থেকে চম্পট দেয় বাকিরা। কিন্তু এর বেশ কিছুক্ষণ পর সেখানে ফের হাজির হয়। এবার সংখ্যায় অনেক বেশি তালিবান জঙ্গি ছিল দলে। তারা ওই বছর ১৬-র মেয়েটির খোঁজ শুরু করে। এমনটা হতে পারে তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন গ্রামের কয়েকজন। তাঁরা তাই ওই কিশোরীকে তার আগেই গ্রাম থেকে দূরে নিয়ে চলে যান। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা