সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করতে এসে বায়ুসেনার হাতে নিহত ২৫ জঙ্গি
রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ হানতে এসেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু বায়ুসেনার পাল্টা আঘাত নেমে এল তাদের ওপর।
কাবুল : মধ্যরাতের অন্ধকার। চারদিক নিস্তব্ধ। জেগে আছে কেবল সেনাবাহিনী। সেনারা তৎপর নিজের নিজের পজিশনে। এদিকে সেনাবাহিনী যে পজিশন নিয়েছে তা জানত জঙ্গিরা। জঙ্গিরা পাল্টা ফন্দি এঁটেছিল রাতের মিশকালো অন্ধকারে আচমকা পজিশন নেওয়া সেনার ওপর হামলা চালাবে। সেনাদের হত্যা করবে। সেইমত তৈরি হয়ে তারা ঘিরে ফেলে জায়গাটা। সংখ্যায় প্রচুর জঙ্গি ছিল।
জঙ্গিরা এটা বুঝতে পারেনি যে তাদের গতিবিধির খবর সেনাবাহিনীর কাছেও রয়েছে। তাই জঙ্গিদের শায়েস্তা করতে সেনার তরফে বায়ুসেনাকে খবর দেওয়া হয়। স্থলপথে হয়তো জঙ্গি নিকেশে সমস্যা হতে পারে বলে মনে হয়েছিল সেনাবাহিনীর। তাই তারা বায়ুসেনাকে তলব করে। বায়ুসেনাও দ্রুত সেখানে হাজির হয়।
জঙ্গিরা যখন সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাতে তৈরি ঠিক তার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। তারপর জঙ্গিদের দলকে চিহ্নিত করে সেখানে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আকাশপথ থেকে আক্রমণ নেমে আসার কথা আন্দাজ করতে পারেনি জঙ্গিরা। তারা তখন দিশেহারা। বায়ুসেনা তারমধ্যেই নিমেষে নিজেদের কাজ শেষ করে। ২৫ জন জঙ্গির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন জঙ্গি গুলিতে আহত হয়। তবে তারা পালাতে সক্ষম হয়।
জঙ্গি নিধনে সঠিক সময়ে বায়ুসেনাকে তলব করে বড় সাফল্য পেল আফগান সেনা। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের লাঘমান প্রদেশে। তালিবান জঙ্গিদের সাজানো আক্রমণের ছক এভাবেই বানচাল করে দেয় আফগান সেনা। আফগান সেনার তরফে জানানো হয়েছে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের ওপার থেকেই জঙ্গিরা ধেয়ে আসে। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে লুকিয়ে তারা আক্রমণ হানার চেষ্টায় ছিল। এই অবস্থায় বায়ুসেনার আক্রমণ দরকার ছিল।
তালিবানের তরফে অবশ্য এই হামলা নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। তবে এটা যে আফগান সেনার বড় সাফল্য তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই। আকাশপথে যে আক্রমণ নেমে আসতে চলেছে তাদের ওপর তা বোঝার আগেই তালিবান জঙ্গিদের দিকে ধেয়ে আসে অগুন্তি গুলি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা