World

ভোররাতে বিমান হানায় শেষ ৩০ জঙ্গি

তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। এই সময় আকাশে উড়ে এল যুদ্ধবিমান। আর সেই বিমান হানায় খতম হল ৩০ জঙ্গি। আহতও হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি।

কাবুল : পরিকল্পনা করেই জড়ো হয়েছিল তারা। ক্রমশ তারা দলে ভারী হচ্ছিল। একে ঠান্ডা। তায় রাতভোর। এই সময়টা লুকিয়ে জড়ো হওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করে তারা জমায়েত বাড়াচ্ছিল।

পরিকল্পনা ছিল দলে ভারী হয়ে তারপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে সুরক্ষা চেক পয়েন্টে। সেখানে সুরক্ষাকর্মীরা এই অতর্কিত আক্রমণ সম্বন্ধে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবেননা। ফলে তাঁদের গুলি করে হত্যা করার কাজটা সহজ হবে। এই কথা মাথায় রেখেই তালিবান জঙ্গিরা জড়ো হয়েছিল। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটা।


আফগানিস্তানের গজনী প্রদেশে তালিবানদের এই জমায়েতের কথা কেউ জানেনা বলে তালিবানরা মনে করলেও এই জমায়েতের সব খবর ছিল আফগান সেনার কাছে। তাই জঙ্গিরা আক্রমণ হানার জন্য জমা হতেই সেখানে আচমকা উড়ে আসে যুদ্ধবিমান। তারপর শুরু হয় জঙ্গিদের ওপর গুলি বর্ষণ।

বিমান হানায় মৃত্যু হয় ৩০ জঙ্গির। ১০ জঙ্গি গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করেছে আফগান সরকার। এই হানাকে বড়সড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে আফগান সরকার।


আফগান সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে জঙ্গিদের ওপর এমন এক আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও এই হানায় কোনও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও সুরক্ষাকর্মীও আহত হননি।

এদিকে তালিবানের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি এই বিষয়ে। তারা বিষয়টি নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে গজনী প্রদেশে তালিবানরা যথেষ্ট সক্রিয়। তারা এই প্রদেশে যথেষ্ট শক্তিশালীও।

তালিবানদের গজনী থেকে হটিয়ে সেখানে আফগান সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতা জোরদার করতে চাইছে। প্রসঙ্গত আফগানিস্তানের যেসব জায়গায় তালিবানরা শক্তিশালী, যেসব জায়গা তারা তাদের মত করে দখল করে বসে আছে, সেখান থেকে তালিবানদের উৎখাত করার চেষ্টা আগে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছে আফগান সেনা।

অনেকগুলি জায়গা তারা নিজেদের দখলেও নিয়েছে। তবে পুরোটা দখলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। যেসব জায়গায় তালিবানরা এখনও শক্তিশালী সেখান থেকেও তাদের হঠাতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে আফগান সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button