বিমানহানায় মৃত জঙ্গি নেতা সহ ৬০ জঙ্গি
বিমানহানায় মৃত্যু হল ৬০ জন জঙ্গির। এছাড়াও অনেক জঙ্গি আহত হয়েছে। এক জঙ্গি নেতারও মৃত্যু হয়েছে এই সেনা হামলায়।
কাবুল : শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল। এই মোটামুটি ২৪ ঘণ্টায় একের পর এক বিমানহানা হয়েছে। হয়েছে স্থল পথে সেনাবাহিনীর হানা। আফগান সেনার এই জোড়া হামলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৬০ জন তালিবান জঙ্গির।
একটি বিমানহানায় আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশের তালিবান প্রাদেশিক প্রধান বলে পরিচিত তালিবান নেতা মোল্লা সফিউল্লা ওরফে মাওলাই নাজিমের মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ৫ জঙ্গিরও মৃত্যু হয়।
এরপরই একের পর এক শুরু হয় হামলা। আফগান সেনা যথেষ্ট আটঘাট বেঁধেই আক্রমণ হানে হেলমন্দ প্রদেশের বিভিন্ন তালিবান ঘাঁটিতে। সঙ্গে ছিল সেনা হামলাও।
সব মিলিয়ে তালিবান ঘাঁটিগুলি একের পর এক তছনছ হতে থাকে দিনভর। রাতেও চলে হামলা। তাতে তালিবানের বিভিন্ন গোপন ঘাঁটি মিলিয়ে ৫৪ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়।
আফগান সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ঘাঁটিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র মজুত ছিল। ৮টি তালিবান কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার গুঁড়িয়ে দেয় সেনা।
এছাড়া তালিবানের প্রচুর মজুত অস্ত্রের পাশাপাশি অনেকগুলি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে তারা। অনেকগুলি গাইডেড রকেটও ধ্বংস হয়েছে এই বিমানহানায়।
সব মিলিয়ে হেলমন্দ প্রদেশে তালিবানের শক্ত পায়ের তলার মাটি অনেকটাই নড়বড়ে করে দিয়েছে এই ২৪ ঘণ্টার একের পর এক আফগান সেনা হানা।
হেলমন্দ প্রদেশে তালিবান যথেষ্ট শক্তিশালী। এখানে এখনও আফগান সেনা সেভাবে প্রবেশ করে উঠতে পারেনি। এখানে তালিবান প্রচুর পরিমাণে পোস্ত চাষ করে। যার মূল উদ্দেশ্য থাকে নিষিদ্ধ মাদক আফিম তৈরি করা।
গোটা হেলমন্দ প্রদেশ জুড়ে তালিবান দাপটের সঙ্গে পোস্ত চাষ চালিয়ে যায়। এবার সেখানে তালিবানদের জোরজুলুম বন্ধ করতে অনেকটাই সফল হল আফগান সেনা।
এদিনের হামলায় তালিবানের ডিভিশনাল কমান্ডার আবদুল সালাম সহ ৩ জন তালিবান বম্ব বিশেষজ্ঞেরও মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে আফগান সেনা জানালেও বিষয়টি নিয়ে এখনও তালিবানের তরফে কিছু জানানো হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা