আর সহ্য নয়, বন্দুক হাতে রাস্তায় নামলেন শয়ে শয়ে মহিলা
সহ্যের একটা সীমা থাকে। আর তাও পার করে গেলে যে নারী এখনও দুর্গার রূপ তা ফের একবার চাক্ষুষ করল গোটা বিশ্ব।
যে কোনও কিছুরই একটা সীমা থাকে। আর তা লঙ্ঘিত হলে নারীরাও যে সংসারের ঘেরাটোপ থেকে অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামতে পারেন তা দেখল গোটা বিশ্ব।
১ জন, ২ জন নন, শয়ে শয়ে মহিলা রাস্তায় নেমে পড়লেন একসঙ্গে। বুঝিয়ে দিলেন নারী শক্তি জেগে উঠলে অন্যায়কারীদের বুক কাঁপানো যায়।
হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে মুখে ফেসমাস্ক পরে বিভিন্ন বয়সের মহিলা এদিন রাস্তায় নামেন। কিন্তু তাঁদের ভাষা ছিল এক। তালিবানের বিরুদ্ধাচরণ। এজন্য কার্যত তাঁরা লড়াইয়ের জন্যও যে প্রস্তুত তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন সকলে।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে। সৈন্য প্রত্যাহার করছে ন্যাটো। আফগানিস্তানে তালিবান শক্তিকে আটকে রাখায় এদের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট।
এখন সেনা প্রত্যাহারের ফলে আফগান সেনাকেই দেশরক্ষা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই কদিনে তালিবান হুহু করে বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছে। দখল নিচ্ছে সেসব এলাকার। আফগান সেনা পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে অন্য দেশে পালাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে তালিবানকে রুখতে রাস্তায় নেমে পড়লেন আফগান মহিলারা। যাঁদের পর্দানশীন করে রাখা হয় সেখানে। সমাজে মহিলাদের স্বাভাবিক মেলামেশার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেখানে।
তালিবান আরও রক্ষণশীল বলেই পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে দেশের মাটিকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করতে সব বাধা ছিঁড়ে রাস্তায় নামলেন শয়ে শয়ে মহিলা।
ঘোর প্রদেশে রাস্তায় অস্ত্র হাতে নেমে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। যা আফগানিস্তানের অন্য জায়গার মহিলাদেরও উৎসাহ জুগিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা